• ? to 98 সাশ্ব হসরিক উপহার } ষে পথে গমন করিলে মহুষ্য যথার্থ রূপে গৌরবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে পারে তিনি সেই পথের পথিক হইয়াই যাবজীবন ক্ষেপণ করিয়া গিয়াছেন। পৃথিবী মধ্যে কৰ্ম্মক্ষম কীৰ্ত্তি কুশল পুরুষের অভাব নাই, জল স্থল সকল স্থানেই মনুষ্য জাতি বিরাজ করিতেছে এবং প্রায় সৰ্ব্বত্রই মহুষোর কার্য্য বিদ্যামান রহিয়শছে। আমরা যখন কোন নদী তীরে উপনীত হইয়া ইতস্ততঃ অবলোকন করি তখনও শত শত ব্যক্তিকে শত শত প্রকার কার্য্যে আবৃত দেখিতে পাই এবং যখন কোন গ্রাম নগর বা বিপণি মধ্যে প্রবেশ করি তৎকালেও নানা মন্থযাকে নানা ব্যবসায়ে ব্যাপৃত সনদর্শন করি; কিন্তু যে মহুষ্য দ্বারা পৃথিবীর নিত্য কল্যাণ উদ্ভাবিত হইতে পারে, যাহার প্রযত্নে মনুষ্যের নিত্য মঙ্গল সঞ্চ{রিত হয়, যে ব্যক্তি কেবল আত্ম সুখে সুখী না হইয় স্বজাতির ও স্বদেশের গৌরব বৰ্দ্ধনের জন্য ব্যস্ত থাকে এবং অন্যের সুখ সাধন করিয়া সুখী হয়, সে প্রকার উদার স্বভব মহৎ মন্থষ্যের সংখ্য অতি অল্প, সেই স্বার্থপরতা শূন্ত সাধু ব্যক্তিই যথার্থ মনুষ্য পদ বাচ্য এবং সেই ব্যক্তিই যথার্থ রূপে মহত্ত্বের অণসম্পদ। ‘তাঁহারই প্রতি মন হইতে শ্রদ্ধার ধারা উৎসারিত হইয় পতিত হইতে থাকে এবং সেই ব্যক্তিই অপেন হইতে সকলের অণন্তরিক প্রীতি আকর্ষণ করে ; সুতরাং রামমোহন রায়ের প্রতি আমাদিগের শ্রদ্ধার উদয় হওয়া কোন রূপেই আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। তিনি এ দেশের মঙ্গলের জন্ত সংখ্যাতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করিয়৷ ষান নাই এবং প্রশস্ত দীঘিকা ও সুরম্য সরোবর, অতু্যচ্চ অট্টালিকা বা সুদীর্ঘ রাজ পথ প্রভৃতি কোষ প্রকার অসাধারণ বাহ্যিক কীৰ্ত্তিও প্রকাশ করেন নাই, কিন্তু আমাদিগের হিতের নিমিত্ত তিনি যে অমুল্য জ্ঞান ধন ব্যয় করিয়া গিয়াছেন, কোটি স্বর্ণমুদ্রণও তাহার এক কণর সহিত সমতুল্য হইতে পারে না এবং তিনি এই ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম রূপ যে অপুৰ্ব্ব মঞ্চ নিৰ্মাণ করিয়া গিয়াছেন, কোটি শতকেও তাহার এক বিন্দু মাত্র ক্ষয় হইবার নহে, তিনি এমন অক্ষয় কীৰ্ত্তি করিয়া যান নাই যে তাহ কস্মিন কালে কোন রূপে অপনীত হইবে, ব্রহ্ম ধৰ্ম্মের উন্নতির সহিত র্ত হার মহিমা
