পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ সাম্বৎসরিক, ১৭৭৪ শকের প্রথম বক্তৃত । ): \כ এই রূপে পরম করুণাকর পরমেশ্বরের অনুপম গুণ সমুদায় অহরহ পর্য্যালোচনা করিলে উহার প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি ও প্রীতি আপন হইতেই প্রকটিত হইতে থাকে। তখন র্তাহীর গুণ কীৰ্ত্তন করিয়া যেমন ৰিশুদ্ধ সুখ সম্ভোগ করা যায়, এমন আর কিছুতেই হয় না। তখন উtহার প্রীতি, উহার প্রসন্নতা ও উtহার সহবাস লাভই সকল কৰ্ম্মের উদেশ্য থাকে। যে বিষয়ের সহিত র্তাহীর সংস্রব নাই, ত{হাভে অণর কোন ক্রমেই পরিতোষ জন্মে না । কিন্তু অন্তঃকরণকে পরিশুদ্ধ না করিলে পরম পরিশুদ্ধ পরমেশ্বরের-সহবাস লাভে সমর্থ হওয়া যায় না। অপরাধী প্রজা যেমন রাজার সহিত সাক্ষাৎ করতে শঙ্কিত হয়, সেই রূপ পাপীসক্ত ব্যক্তি র্তাহীকে হৃদয়স্থ করিতে ভীত ও অসমর্থ হয়। অতএব, অন্তঃকরণকে পরমেশ্বরের প্রেম-রাগে রঞ্জিত করিবার পূৰ্ব্বে তাহার পাপ রূপ ধূলিকণা সকল প্রক্ষালন কর কৰ্ত্তব্য। প্রিয় জনের প্রিয় কার্য ও উহার প্রিয় বস্তুর প্রতি প্রীতি না করিলে তাহার প্রতি যথার্থ প্রীতি প্রকাশ পায় না ; অতএব বিশ্ব-পতির অখিল বিশ্বের প্রতি প্রীতি প্রকাশ পুৰ্ব্বক সৰ্ব্ব জীবের শুভ চিন্ত করা বিধেয় । সমুদায় ব্রহ্মাণ্ডই উহার প্রীক্তিভাজন। সকল জীবই তাহার স্নেহাস্পদ। অতএব তিনি যেমন নিরক্ষেপ ভাবে সকলের প্রতি সমান দৃষ্টি রাখিয় বিশ্ব-রাজ্যের । ব্যবস্থা করিয়াছেন, উtহায় সাধকদিগেরও সেই রূপ উপহার আজ্ঞাবহ হইয়া সৰ্ব্বসাধারণের শুভানুষ্ঠান কর কৰ্ত্তব্য। উহার কাৰ্য্যকে অামারদের কার্য্যের অাদর্শ স্বরূপ জ্ঞান করিয়া এবং আমারদের ইচ্ছাকে উহার ইচ্ছার অনুগত করিয়া তাহার অভিপ্রায় সম্পাদনে সৰ্ব্বদা রত থাকা উচিত। যে ব্যক্তি উহার অতিপ্রায় সম্পাদন করিতে পারলেই প্রফুল্প থাকে, এবং অনন্তযত্ব হইয় তাহার প্রদর্শিত পথেই প্রতিক্ষণ ভ্রমণ করে, সেই ব্যক্তিই ভঁ{হার সাক্ষাৎকার লাভের অধিকারী হইয়া অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ অহুভব করে। “ তিনি আমারদের স্থখ নদীর প্রস্রবণ।" তিনি আমারদের সৌভাগ্য তরুর এক মাত্র মুল স্বরূপ । নদী কি কখন প্রস্রবণ হইতে পৃথক হইয় প্রবাহিত