বড়বিংশ সাস্বৎসরিক, ১৭৭৭ শকের প্রথম বক্তৃত । ઝ , চক্ষু দ্বার সাক্ষাৎ সন্দর্শন পাইয়াছ কি না ? করতল দ্বারা যেমন অমলক ফল স্পর্শ করা যায়, তদ্রুপ অণপনার নিষ্পাপ পবিত্র আত্মা দ্বারা সেই সৰ্ব্বব্যাপী অন্তরাত্মাকে সংস্পশ করিতে পারিয়াছ কি না । সেই সকলের অন্তরস্থ ভুম অমৃত-সাগরে অবগাহন করিয়া অশেষ কামনার ফল লাভ করিয়tছ কি না ? সেই অমৃত আনন্দ রস পান করিয়া সংসারের দুঃখ শোককে পরাজয় করিয়াছ কি না ? যতক্ষণ না এই সংসারকে ছায়ার দ্যায় অণর সংসারের অষ্টা সত্যের সত্যকে স্নাতপের ন্যায় সৰ্ব্বত্র দেীপ্যমান প্রীতি হইবেক, তাবৎ তঁহকে অন্বেষণ করিবে ; তুtহাকে লাভ হইলে আর লাভকে লাভ বলিয়াই জ্ঞান হয় না, গুরু বিপদকে বিপদ বলিয়াই বোধ হয় না । কিন্তু হায় ! কয় ব্যক্তি উগ্ৰহণকে অন্বেষণ করে ? তাহাকে অন্বেষণ করিবার সেই স্পৃহ কই ? সেই অনুরাগ কই ? শরীর রোগগ্রস্ত হইলে যেমন ক্ষুধা মন্দা হয়, তক্রপ মন পাপ ভারে প্রপীড়িত হইলে তাহাতে ঈশ্বর-অস্পৃহা স্কৃৰ্ত্তি পায় না। প্রচুর ধনশালী হইয়া রোগী হইলে যে ছৰ্দশা, জ্ঞানবান হইয়া পাপী হইলে সেই দুর্দশা। ধনী ব্যক্তিদিগের, সুস্বাদু অন্ন ব্যঞ্জন আহরণ করিবার ক্ষমতা থাকিলেও রোগ প্রযুক্ত তাহাতে মনের প্রবৃত্তি হয় না, জ্ঞানী ব্যক্তিদিগের ঈশ্বরের বিশুদ্ধ স্বরূপ ধ্যান করিবার সমর্থ্য থাকিলেও পাপ প্রযুক্ত তাহাতে মনের স্পৃহ হয় না । অতএব পাপ কৰ্ম্ম হইতে বিরত হইয়। ঈশ্বর স্পৃহাকে উদ্দীপন না করিলে ঈশ্বর লাভের সম্ভাবনা নাই । যদি অম্বুরাগ ব্যতীত কোন কৰ্ম্মই সিদ্ধ হয় না, তবে ঈশ্বরেতে যাহারদিগের অস্থরাগ নাই, তাহারা ভঁাহাকে কি প্রকারে লাভ করিবে ? “নায়মাক্স প্রবচনেন লভ্যোন মেধয় ন বহুন। গুরুতেন। যমেবৈষ ৰুণুতে তেন লভ্যস্তস্যৈষআত্মা বৃণুতে তস্থং স্বtং " “অনেক উত্তম বচন দ্বারা বা মেধা দ্বারা অথবা বহু শ্রবণ দ্বারা তাহাকে লাভ করা যায় না, যে সাধক সম্পূহ হহয়। উাহাকে প্রার্থনা করে, সেই তাহাকে পায় ; পরমাত্মা এরূপ সাধকের সন্নিধানে আত্ম-স্বরূপ প্রকাশ করেন।" র্যtহর তাহাতে স্পৃহা অাছে, তিনি যতক্ষণ না তঁহাকে লাভ করিতে পারেন,
