পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** - সন্ধিৎসরিক উপহার } ততক্ষণ র্তাহীর আর কিছুই ভাল লাগে না । তাহার নিকটে স্থৰ্য্যরশ্মি অন্ধকার প্রায় হয়, উপহার নিকটে শশী নক্ষত্র শোভ শূন্ত হয়, তাহাকে সুশীতল বায়ু, শীতল করিতে পারে না । তিনি তৃষিত মৃগের স্যায় তাহনকে অন্বেষণ করেন এবং ভূষিত মৃগ যেমন জল প্রাগু হইলে পরিতৃপ্ত হয় তিনিও তদ্রুপ সেই অমৃত লাভ করিয়া পরিতৃপ্ত হয়েন । তিনি কি পুণ্যবান ব্যক্তি ! যিনি বহু অম্বেষণ পরে সকল কামনার পরিসমাপ্তি, অনন্ত সুখের আকর, অজর, অমর, অভয় পুরুষুকে লাভ করিয়া অভয় প্রাপ্ত হইয়াছেন । , তিনি কি ভাগ্যবান ! যিনি সৰ্ব্বত্র তাহার আবির্ভাব জাজ্বল্যমান দেখিতেছেন । তিনি যখন চক্ষু উন্মীলন করেন, তখন এই অনন্ত আকাশে সেই অরূপী পরমেশ্বরের বিচিত্র রূপ দর্শন করিয়া তাহার গুণ গ্রাম গান করেন এবং যখন তিনি চক্ষু নিমীলন করেন, তখন স্তব্ধ হইয় চেতনের চেতনকে মনের অভ্যন্তরে অহুভব করেন । তিনি প্রভাকরে র্তাহীর প্রভা, চন্দ্র-মণ্ডলে তাহার শোভ1, নক্ষত্র-গহনে তাহার জ্যোতি, প্রতি পুষ্পে তাহার সৌন্দর্য, মাতৃ-হৃদয়ে উপহার স্নেহ, দয়ালুর মনে র্ত হার দয়া, বিশ্ব-সংসারে তঁহারই ভাবের আবির্ভাব দেখেন ; অথচ জানেন তিনি ইহার কিছুই নহেন । তিনি প্রভা নহেন, তিনি জ্যোতি নহেন ; তিনি স্নেহ নহেন, তিনি দয়া নহেন ; উtহার রূপ নাই, তাহার নাম নাই। তিনি সত্যের সত্য, প্রাণের প্রাণ, চেভনের চেতন, মঙ্গল স্বরূপ । যে মঙ্গলময় নিগৃঢ় ভাবের এই বিশ্বরূপ আবির্ভাব, র্তাহাকে না মনেতে পাওয়া যায় না বাক্যেতে কহ যায়। ইন্দ্রিয় ও মন উপহার সেই নিগূঢ়-ভাব আহুধাবন করিতে গিয়া স্তন্ধ হয়। চক্ষু দ্বারা সেই অবর্ণকে বর্ণরূপে দেখা যায়, কর্ণ দ্বারা সেই অশব্দকে শব্দরূপে শুনা যায়, মন দ্বারা সেই অমনকে মনেরূপে প্রতীতি হয়, কিন্তু সেই অচিন্ত নিগৃঢ়-ভাবকে কেহই প্রকাশ করিতে পারে মা ! “ন তত্র সুৰ্য্যোভাতি ন চন্দ্রভারকং নেমাবিদ্যুতোভান্তি কুতোযমগ্নিঃ । তমেব ভান্তমকুভাতি সৰ্ব্বং তস্য ভাসা সৰ্ব্বমিদং বিভীতি।” “স্থর্য তাহণকে প্রকাশ করিতে