পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমানি করি নাই। লোকে নিন্দ করল, কি কুৎসা রটন করল, তাতে এমন কি এল গেল যে, আমি আত্মহারা হয়ে পড়লাম । বেশ ধীরভাবে, কাকা-বাবুর সন্মান রক্ষা করে কথা কি বলা যেত না । এতে বড়ই অহঙ্কার প্রকাশ করা হয়েছে ! কাজটা ভাল হয় ; নাই সত্যসত্যই এ ব্যবহারের সমর্থন করা যায় না। ফিরে যাব না কি ? গিয়ে কাকা-বাবুর পায়ে ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে কি ভাল হয় না ? বৃদ্ধ হয় ত বড়ই কষ্ট বোধ করছেন । না ? কাজ নাই ফিরে গিয়ে। বাড়ী যাই, মাকে সমস্ত কথা বলি ; তিনি যদি ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেন, তখন তাই করা যাবে। এই রকম নানা কথা ভাবিতে ভাবিতে সিদ্ধেশ্বর বাবু বাড়ী ফিরিয়া আসিলেন এবং বরাবর বাড়ীর মধ্যে যাইয়া মায়ের ঘরে উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন র্তাহার মাতা ও মানদা সেই ঘরে বসিয়া কি কথাবার্তা বলিতেছেন। মানদার সম্মুখে এ কথা উত্থাপম করা কিছুতেই কৰ্ত্তব্য নয়, মনে করিয়া তিনি ফিরিবার চেষ্টা করিতেই তাহার মাতা বলিলেন “কিরে সিধু, এলি, আবার ফিরে যাচ্ছিল ষে; ও-বাড়ী গিয়েছিলি। তোর কাকা-বাবুর সঙ্গে কি কথা হোলো ? মমিনপুরের সেই গোলমাল সম্বন্ধে কি বলে এলি ?” সিদ্ধেশ্বর ফিরিয়া দাড়াইয়া বলিলেন মমিনপুর সম্বন্ধে কোন বথাই ত হোলো না ; তিনি সে-জন্ত ৰামাকে ডাকেন নাই ; অন্য একটা কথা ছিল।” এই বলিয়াই তিনি চুপ করিলেন। রমামুন্দরী বলিলেন “অন্ত এমন কি কথা যে, তোকে જે ર