পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নোল-তমালি তাই হয়েছে,—সেই দশ বছর বয়স থেকে ধরেছি, এখন আর ছাড়তে পারি নে। তবুও আপনার মুখ থেকে কথাটা শুনে কেমন লজ্জা করছে।” সিদ্ধেশ্বর বললেন “আচ্ছা, শীতল ঠাকুর, তুমি কি কোন দিন এই নেশা ত্যাগ করবার জন্য চেষ্টা করেছ ?” শীতল বলিল “ঐ যে বললাম, নেশাটা যে মন্দ, তা ত বুঝি ; কিন্তু কিছুতেই ছাড়তে পারিনে ; চেষ্টা করেছি বই কি ?” “না, তুমি হয় ত তেমন চেষ্টা কর নাই। তুমি সৎ-ব্রাহ্মণের ছেলে, লেখাপড়াও জান ; সংস্কৃতও পড়েছিলে ; তুমি কি চেষ্ট৷ করলে এই সামান্ত নেশাট ছাড়তে পার না । তারপর, আমি জানি, তোমার আর কোন বদখেয়াল নেই—মুধু ঐ নেশাটুকু।” শীতল বলিল “তা বড় বাবু, অহঙ্কার করে বলতে পারি, এই ত বয়সও প্রায় চল্লিশ হ’তে চলল ; এর মধ্যে আমি কখন স্ত্রীলোকের ংসর্গ করি নেই ; কারও দিকে কখন কু-নজরে চাই নেই। সে কথা আমাকে কেউ বলতে পারবে না।” “তবেই ত দেখ, তোমার এত গুণ, সব মাটী করেছে ঐ নেশায়! আমার কথা শোন, গাজ-ভাঙ্গটা ছেড়ে দেও। চেষ্টার অসাধ্য কি কাজ আছে ?” শীতল বলিল “আচ্ছা, আপনার কথায় আর একবার চেষ্টা করব । অনেক দিনের অভ্যাস ।” 矚 “দেখ, কোন একটা বদ অভ্যাস ধীরে ধীরে চেষ্টা করে ছাড়া যায় না ; একেবারে একদিনে ছেড়ে দিতে হয়। মন খুব দৃঢ় ○ > ア