পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ৰোল তমালি শীতল ঠাকুর অপ্রিয় সত্য ন বলে ফেলত, তা হলে তুমি ত একঘরে হয়েছিল। তা হলে কি হত বল ত ! তোমার বা টী কেউ খেয়ে যেত না, তোমার বাড়ীর পূজা-পাঠ সব বন্ধ হয়ে যেত ; যে টাকাগুলো তুমি আমাদের মত নিষ্ঠাবান বাহ্মণের .ভাজনে ব্যয় কর, তা তোমার বেঁচে যেত। কি দুৰ্দ্দৈপ থেকে শীতল ঠাকুর তোমাকে বঁচিয়ে দিয়েছে । তাকে একদিন পুণ পেট-ভরে থাইয়ে দেওরা তোমার উচিত ; আর তার সঙ্গে উপযুক্ত দক্ষিণ। কিঞ্চিৎ গঞ্জিকা ! গঞ্জিকার নাম শুমে লাফিয়ে উঠে না। ঐ গঞ্জিকাই তোমাকে এবার একঘরের দায় থেকে পাচিয়ে দিয়েছে । সাদা-চোথে কেউ বাবাকে আমন কথা শোনাতে সাহসফ পেত না ; শীতল ঠাকুরের ঐ গঞ্জিকা সহায় ছিল বলেই সে এমন কৰ্ম্ম পেরেছে । এতক্ষণ আসল কথা বল্লাম ; এখন একটু বাজে কথা বলি । গায়ে গায়ে বাস, অথচ চিঠি লিখে কথা বলতে হয় ; এর চাইতে আর দুর্ভাগ্য কি আছে বল ত । ঐ যে একটা গান শুনেছিলাম ‘সে আর লালন এক স্থানে রয়, তবু লক্ষ যোজন ফাক রে ? আমাদেরও তাই হয়েছে। এই নয়-মানি আর সাত আনি মিণে গিয়ে ষোল আনা কবে হবে, আমি তাই ভাবছি ;---এই মণ্টেগু আর বাপুলেটের বিবাদ কবে মিটবে দাদা। শোন, যে কথা নিয়ে এই বৰ্ত্তমান সামাজিক গোল উঠবার মত হয়েছিল, হয় ত বা এখানে না উঠলেও আর কোথাও উঠতে পারে, সে সম্বন্ধে তুমি আমার মত জানবার জন্ত উৎসুক না হতে ১২৩