বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ষ্ট্যালিন - সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষ্ট্যালিন

 “১৯০৫ সালের মতই এবারও প্রগতিশীল শ্রমিক শক্তিই বিপ্লবকে সম্পূর্ণ জয়ের পথে পরিচালিত করিবে......

 “আসন্ন সংগ্রামের জন্য জনসাধারণের মূল শক্তিগুলিকে প্রস্তুত করিয়া তুলিবার জন্য চাই শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ পার্টি...

 “...অতএব কমরেড্ পাঠকগণ, আপনারা টিফ‍্লিসের গণশক্তিকে অনাগত চূড়ান্ত সংগ্রামে প্রস্তুত করিয়া তুলিবার জন্য প্রযত্নশীল হউন।”

 যে সকল লোকদুর্ল্লভ চারিত্রিক গুণাবলী থাকিলে বহু সঙ্কটের মধ্য দিয়াও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা যায়, ষ্ট্যালিনের মধ্যে এই কালে তাহার চরম বিকাশ ঘটিয়াছিল। আত্মঘোষণায় কুণ্ঠিত ষ্ট্যালিন নিজের অতীত জীবন সম্পর্কে ব্যক্তিগত কথা খুব কমই বলেন; যদি তিনি তাহা খুলিয়া বলিতেন, তাহা হইলে এই সময়ের কার্য্যাবলী হইতেই বুঝা যাইত —জনসাধারণ ও নেতার সুগভীর ঐক্যই ভবিষ্যত ইতিহাসকে কি ভাবে নিয়ন্ত্রিত করিয়াছে। ১৯১০-এর মার্চ মাসে তিনি পুনরায় গ্রেফ‍্তার হইয়া কারাগারে নিক্ষিপ্ত হইলেন। কয়েক মাস পরে তাঁহাকে মোলভিচেগোডস্কে নির্ব্বাসিত করা হইল।

 ১৯০৯-১১ সালে বলশেভিকদলকে বহু সঙ্কট অতিক্রম করিতে হইয়াছিল। দলের সদস্যেরা বিশাল সাম্রাজ্যের নানাস্থানে ছড়াইয়া ছিলেন এবং প্রধান নেতারা ছিলেন, রাশিয়ার বাহিরে। লেনিন বাহির হইতেই আন্দোলন পরিচালন করিতেন। গ্রেফ‍্তার, জেল, জরিমানার ভীতি ও উৎসাহহীনতা দলের শৃঙ্খলা নষ্ট করিবার উপক্রম করিয়াছে, প্রতি-বিপ্লবীদের প্রচার কার্য্যের ফলে অনেক কর্ম্মীর বিশ্বাস টলিতে লাগিল। শিক্ষিত বুদ্ধিজীবিরা, এমন কি অনেক কর্মীর মনেও সংশয় দেখা দিল; মেনশেভিকদের ত কথাই নাই, বলশেভিকেরা পর্য্যন্ত বৈধ

৩৮