পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వీడిచి চনংবাদ, গুগত্রে লেকালেৰ কথা বা বিশেষ তথ্যাঙ্গুসন্ধান বিরহে শুদ্ধ সন্দেহ পাশে বদ্ধ হইয়া মাত্র তাহারদিগকে শিক্ষণ না দিয়া ষাবজ্জীবন জন্য দুঃখিনী করিতেছেন যেহেতুক অজ্ঞানতাবশতই স্ত্রীগণ অনুক্ষণ দুষ্কৰ্ম্মে রত হইয়া দুঃখ পায় অতএব অবিদ্যাই তাহারদিগের দুঃখের প্রতি কারণ। বিচক্ষণ পত্রপ্রেরক [ কৈলাসচন্দ্র সেন ] লেখেন যে স্ত্রীলোকদিগের বিদ্যোপার্জনে বরং মন্দফলই জন্মে যথা গুণ হয়ে দোষ হলো বিদ্যার বিদ্যায়। উত্তর শাস্ত্র বিদ্যা যে অসৎ ফলাপিকা ইহা এক নূতন বাৰ্ত্তা কেন না বিদ্যা যে জ্ঞান ইহা কখন অজ্ঞান জনিক বা মন্দ ফলাপিকা নহেন যথা বিদ্যা দদাতি বিনয়ং বিনয়াৎ যাতি পাত্ৰতাং পাত্ৰত্নাং ধনমাপ্নোতি ধনাদ্ধৰ্ম্মং ততঃ স্থখং । অতএব বিদ্যোপার্জনে এই সকল অর্জন হয় বিদ্যার অভাবে ইহারদিগের অভাব হইলে স্বতরাং নানা মন্দ ফল দশে বিদ্যাবতী বিদ্যার বিদ্যা গুণ হইয়া যে দোষ হইয়াছিল হইয়া অস্বীকৰ্ত্তব্য দুষ ধাতুর গুণ হইয়াই দোষ হইয়াছে তবে উক্তস্থলে ইহা প্রয়োগের কারণ কেবল রচনার শোভাথে বস্তুতঃ এক প্রকার অনস্বয় ইহাই স্বীকার করিলে এস্থলে বিবাদ বিরহ কেন নী বিদ্যা সুন্দরের ইতিহাস দ্রষ্টা বিচক্ষণ পাঠক মহাশয়েরা যদি ঐ উভয়ের সংমেলনের প্রতি স্বল্প বিবেচনা করেন তবে বিদ্যার বিদ্যায় যে গুণ হইয়া দোষ হইয়াছিল কদাচ এমত বোধ হইবেক না তবে অপবাদ প্রভৃতি দেবীর লীলার কারণ মাত্র অতএব বিদ্যার দ্বারা অর্জিত গুণ কদাপি অগুণ কারক নহে। দৰ্পণ সম্পাদক মহাশয় স্ত্রী লোকদিগের বিদ্যাধ্যয়নে শাস্ত্রে কোন নিষেধ নাই বরং নীতি শাস্ত্রে স্পষ্ট অনুমতি আছে যথা কন্যাপ্যেবং পালনীয়া শিক্ষণীয়েতি যত্নত ইত্যাদি অর্থাৎ কন্যাকে পুত্রের ন্যায় পালন ও শিক্ষণ করাইবেক । আর যদি স্ত্রী লোকদিগের বিদ্যাধ্যয়নে কস্তচিন্মতে কোন দোষোল্লেখ থাকিত তবে পূৰ্ব্বকার সাধবী স্ত্রীরা কদাচ অধ্যয়ন করিতেন না দেখুন মৈত্রেয়ী শকুন্তলা অসুস্থয়া বাহবট কন্যা দ্রৌপদী রুক্মিণী চিত্ৰলেখা লীলাবতী মালতী কর্ণাট রাজাঙ্গনা খন এবং লক্ষণসেনের স্ত্রী প্রভৃতি নানা শাস্ত্রাধ্যয়ন করিয়া তত্তচ্ছাস্ত্রে পারদর্শিতা রূপে বিখ্যাত ছিলেন অতএব আমি পত্রপ্রেরককে জিজ্ঞাসা করি যে বিদ্যা শিক্ষা করিয়া কি তাহারদের ধৰ্ম্ম নষ্ট না অখ্যাতি হইয়াছিল বরং তাহারদের মুখ্যাতিই চির জীবিনী হইয়াছে সম্পাদক মহাশয় উক্ত স্ত্রীদিগের প্রত্যেকের অপূর্বানিৰ্ব্বচনীয়া বিদ্যা বুদ্ধির প্রমাণ সমূহ দেদীপ্যমান আছে আবশ্বক হইলে প্রকাশ হইবেক যদি পত্রপ্রেরক ঐ স্ত্রীরা দেবাংশে জাত৷ বলিয়া আপত্তির উৎপত্তি করেন তবে আমি এই কহিতেছি যে একালে রাণীভবানী হঠী বিদ্যালঙ্কার ও শু্যামাস্কন্দরী ব্রাহ্মণী প্রভৃতি অনেক স্ত্রীরা বিদ্যাভ্যাস করিয়াছিলেন এবং অনেকেই করিতেছেন তাহাতে তাহারদের প্রতি কি দোষ স্পর্শিয়াছে বা পশিতেছে অতএব পূৰ্ব্বাবধি এপর্য্যস্ত স্ত্রীলোকদিগের যে বিদ্যাধ্যয়ন প্রথা প্রচলিত আছে এবং তাহাতে দোষাভাব ইহা অবশুই স্বীকাৰ্য্য । যাহাহউক পত্রপ্রেরক সন্দেহসাগরে নিমগ্ন হইয়৷ তদনন্তর লেখেন যে উত্তম মধ্যম অধম সৰ্ব্বপ্রকার লোকেরই সন্ত্রম স্ত্রীগণের ব্যবহারানুসারে তেষাং তাবল্লোকেই স্ব২ বালিকারদিগকে ও আবশ্বক কৰ্ম্মার্থে বহির্গমন করিতে দেন না এতাবত এতদবস্থায় তাহারা কিরূপে পদব্রজে পাঠশালায় গিয়া শিক্ষা করিবেক স্বন্ধেতুক তদৃষ্টে অশিষ্ট