পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१र्थ्य (శ్రీహి দ্বিতীয় অচ্যুতানন্দ ঐ দুষ্কৰ্ম্মান্বিত দণ্ডির চেলা। তৃতীয় জ্ঞানানন্দনামে এক দণ্ডী গোবিন্দানন্দের চেলা এই কএক জন উপস্থিত হইবায় কালেক্টর সাহেব পরীক্ষায় পরমানন্দ দণ্ডিকে অতিবিজ্ঞ দেখিয়া নিযুক্ত করিবার মানস গ্রাহকরত অচ্যুতানন্দকে অনুপযুক্ত দেখিয়া কহিলেন যে তোমার গুরু যে পথে গিয়াছেন তুমিও সেই পথাবলম্বন কর । তাহাতে আমলাসকল কৌশল করিয়া মফঃসল সুরতহালের অনুমতি লইয়া কএক জন মফঃসলে তদারক করিয়া কৈফিয়ৎ দেন । হে সম্পাদক মহাশয় এ বিষয়ে আমার জিজ্ঞাস্য এই যে কৃষ্ণানন্দ দণ্ডী যাহাকে মাজিস্ত্রেট সাহেব গাদিচ্যুত করেন তাহাকে কোন হুকুমপ্রমাণে এবিষয়ের মধ্যে বসাইয়া সুরতহাল করিলেন । এবং যে ব্যক্তিকে মোকামমজকুরে থাকিবার সাহেবের আজ্ঞা নাই তাহাকে সরে কাছারীতে কিপ্রকার বসাইয়াছিলেন ফলতঃ আমলারদিগের সহিত কৃষ্ণানন্দ দণ্ডির এরূপ পরামর্শকরাতে এই জনরব উঠিল যে তাহার চেলা গাদি নশীন পদ প্রাপ্ত হইয়াছে । ইহাতে তাবল্লোকই ভীত ও দুষ্টলোক সকলে তাহার সহিত মিলিয়া পূৰ্ব্বপ্রায় লোকের উপর দৌরাত্ম্য পুনরায় আরম্ভ করিয়াছে। এবং গত বৈশাখ মাহার মধ্যে মোকাম সোশাইডাঙ্গার নিকটে দুই তিন খান মহাজনি নৌকা মারা পড়িয়াছে যে ব্যক্তি এইক্ষণকার কালেক্টরীর সরবরাহকার তিনি এই সকল দৌরাত্ম্যের কতক২ কালেক্টরীতে এত্তেলা করিয়াছিলেন । কিন্তু আমলাসকলই তাহার সহায় আছেন এবিষয়ে অধিক প্রকাশিত নহে যদিও এইক্ষণকার মাজিস্ত্রেট সাহেব অতিসদ্বিবেচক কিন্তু ঐ দণ্ডির চেলা পুনৰ্ব্বার গাদি প্রাপ্ত হইল এই জনরব ক্রমে কোন লোকেই ভয়ে মাজিস্ত্রেট সাহেবকে জানাইতে অক্ষম । হে সম্পাদক মহাশয় যদ্যপি অনুগ্রহপূর্বক দর্পণপাশ্বে এই পত্ৰখানি প্রকাশ করেন তবে আমরা চিরবাধিত হই যেহেতুক পরোপকারে ধৰ্ম্ম আছে অলমতিবিস্তরেণ। কস্তচিৎ গুপ্তিপাড়ানিবাসিনঃ । ( ৮ আগষ্ট ১৮৩৫ । ২৪ শ্রাবণ ১২৪২ ) নেপাল –পশুপতি সত্তীর্থস্থানে কশ্চিৎ যাত্রী নেপাল দেশস্থ শ্ৰীযুত মাতবর সিংহের নানা গুণ বর্ণনা করিয়াছেন । কিন্তু পতিহীন স্ত্রীরদিগকে তিনি যেরূপ আশ্রয়দান ও রক্ষণাবেক্ষণাদি করিয়াছেন তাহ ঐ যাত্রির লিখিতে ভ্রম হইয়াছে। মাতবর সিংহ নৈয়ন সিংহ মহাবংশ্বের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এবং হিন্দু শাস্ত্রানুসারে বংশের প্রধান ব্যক্তির যে সকল কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সে সমুদায় ভারই এইক্ষণে তাহার প্রতি অর্পণ হইয়াছে। ঐ জ্যেষ্ঠতাপদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কঠিন ও অত্যাবশ্বক কৰ্ম্ম অথচ যে কৰ্ম্ম প্রায় কেহই প্রতিপালন করেন না সে এই স্বজনগণের মৃত্যুর পরে তাহারদের যুবতী স্ত্রীরদিগকে স্বচ্ছন্দে রক্ষণাবেক্ষণকরণ। সত্যযুগে বিধবার স্বজনেরদের কর্তৃক উত্তমরূপে প্রতিপালিত হওনপ্রযুক্ত প্রায়ই সতী হইত না । কিন্তু এই কলিযুগে শাস্ত্রের আজ্ঞা বিধানেতে স্ত্রীগণ যে দগ্ধ. হইতেছে এমত নহে কেবল স্বজনের লোভপ্রযুক্তই। যেহেতুক কোন শাস্ত্রেও যদি १२