পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী । 8 ܘ এবং সাক্ষ্য রাখিয়া আপন আপনি আগমনবাৰ্ত্তা ঘোষণা করিতে থাকেন । দেবীর উৎসব প্ৰতি বৎসর এই দেবীর বিবিধ প্ৰকার উৎসব হইয়া থাকে, তন্মধ্যে দুৰ্গোৎসব, অম্বুবাচী ও পুংসবন, এই তিনটী উৎস বই অতি সমারোহে जश्न श् । অম্বুবাচী উৎসব-প্রতি বৎসর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ দিবসে সূৰ্য্যদেব যে বারে যে সময় মিথুন রাশিতে গমন করেন, তাহার পরের সেই বারে সেই সময়ে পৃথিবী স্ত্রীধৰ্ম্মিণী হন । জ্যোতিষ পণ্ডিতগণ ইহাকেই অম্বুবাচী বলিয়া নির্দেশ করেন, কিন্তু এখানকার পাণ্ডাদের মত স্বতন্ত্র দেখিলাম ; তঁাহারা এই অম্বুবাচী সময়ে কামাখ্যা দেবী রজস্বালা হন বলিয়া প্রচার করেন এবং প্ৰেমাণস্বরূপ এই সময় মহামায়াকে শ্বেত বস্ত্র পরিধান করাইলে উহ্য রক্ত বর্ণ হয়, সাধারণাকে উহাও দেখাইয়া থাকেন । এই তিন দিবস বেদাধ্যায়ন ও বীজ বপন নিষিদ্ধ। অম্বুবাচীীকালে যদি কোন যতী, বিধবা ব্ৰহ্মচারী, বা ব্ৰাহ্মণ স্বপাক বা পারপাক আহার করেন, তাহা হইলে চণ্ডালের পাক অন্ন অ’ : করিলে যে পাপ স্পর্শে, তাহাকে সেই পাপে লিপ্ত হইতে হয় । মহামায়ার ঐ রক্ত বৰ্ণ পরিধেয় কাপড়ের এক টুকরা সংগ্ৰহ করিতে পাণ্ডার কৃপা প্রার্থনা করিতে হয় । কথিত আছে, ঐ রক্তবর্ণ বস্ত্রেত্ন, এক টুকরা গৃহস্থের বাটীতে থাকিলে কামাখ্যাদেবীর কৃপায় সেই গৃহস্থের সকল দিকে মঙ্গল হয়। কাশীধামে যেরূপ কুমারী পূজার প্রথা আছে, এখানেও সেইরূপ