পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি ও মাহাত্ম্য 8 \O এই অদ্ভুত ঘটনা স্বচক্ষে দর্শন করিয়া, ক্ৰোধে উন্মত্তের ন্যায় পিনাক লইয়া শার প্রয়োগে, সেই হরিণের মস্তক ছেদন করিলে, হরিণ রূপধারী ব্ৰহ্মার দেহ হইতে এক মহাজ্যোতি বিনিৰ্গত হইয়া জগতের হিতের জন্য আকাশ মার্গে মৃগশীর্ষ নক্ষত্ৰ নামে উদিত হইলেন, তদর্শনে শঙ্কর রোষে আন্দ্রে নক্ষত্ররূপী হইয়া অম্বরে মৃগব্যাধিরূপী ত্রিপুরান্তক মৃগশৰ্যান্তিক রূপে তথায় উদয় হইয়া সেই কামুক প্ৰজাপতি পিতার লীলার বিষয় সাক্ষ্য প্ৰদান করিতে লাগিলেন, এই রূপে তাহারা আকাশমার্গে উদিত হইয়া জগতের হিতসাধন করিতেছেন। অতএব প্ৰিয়ে ! ব্ৰহ্মার ঐ তেজ জগতের মঙ্গলের নিমিত্ত তোমায় পান করিতে অনুরোধ করিতেছি ।” ইহা শুনিয়া অমোঘ মহা চিন্তান্বিত হইলেন । কারণ কিরূপে পতি বাক্য অবহেলা করিয়া মহাপাপে লিপ্ত হইবে, আবার কিরূপেই বা পরপুরুষের বীৰ্য্য জ্ঞানত জানিয়া-শুনিয়া পাপ করিবে ; এইরূপ নানাপ্ৰকার চিন্তা করিয়া শান্তনুকে বলিলেন, “প্ৰভো ! পতিই আমার দেবতা। পতি বাক্য অমান্য করিয়া মহাপাপে লিপ্ত হইবার বাসনা আমার নাই, কিন্তু আপনি বিচার কারিয়া দেখুন ; আমি জ্ঞানত পর পুরুষের বীৰ্য্য কিরূপে সেবন করিব ? আমার সবিনয় প্রার্থনা এই যে, ঐ রেত প্ৰথমে আপনি পান করিয়া আমাতে অনুরক্ত হউন, তাহা হইলে সকল দিকই বাজায় হইবে।” শান্তনু পত্নীর যুক্তিপূর্ণ বাক্যে প্রীত মনে তদনুসারে কাৰ্য্য করিলেন । কালের গতি কে রোধ করিতে পারে, অমোঘা যথাসময়ে পুর্ণগর্ভা হইয়া জলরাশিসহ এক পূর্ণকান্তি সৰ্ব্বলক্ষণযুক্ত ব্ৰহ্মার সদৃশ পুত্র প্রসব করিলেন । পুত্র প্রসব হইবার পূর্ব হইতে মুনিবার ধ্যানযোগে সমস্ত