পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A 8 R তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী صحیححe দেব স্থানের সন্নিকটে একটা গহবর আছে ; কথিত আছে, দরজে নামক এক তিব্বতদেশীয় লামা ইহার মধ্যে বসিয়া যোগসাধনপুৰ্ব্বক সিদ্ধলাভ করেন, এই বিশ্বাসে ভুটিয়া ও পৰ্ব্বতবাসীরা এই তপস্যা স্থানটীকে এক পুণ্যভূমি বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন। এই রূপে এখানকার। প্ৰসিদ্ধ দেবতা দুৰ্জয়লিঙ্গের দর্শন ও স্পৰ্শন করিয়া সন্তুষ্টচিত্তে নয়ন ও জীবন সার্থক বোধে সেদিন অপর কোথা ও আর না। যাইয়া ক্ষুৎপিপাসা নিবৃত্তির নিমিত্ত স্যানিটেরিয়মে প্ৰত্যাগমন করিলাম। পর দিবস। যথাসময়ে জলযোগ সমাপন করিয়া স্ত্যানিটেরিয়মের নিম্নভাগে গভর্ণমেণ্টের জেলখানার অনতিদূরে এক অপূৰ্ব্ব উদ্যান আছে, এইরূপ সন্ধান পাইয়া উদ্যান মধ্যে তাহার সৌন্দৰ্য্য দেখিবার জন্য প্ৰথমেই তথায় যাত্ৰা করিলাম। এখানে পৃথিবীর সকল দেশের উদ্ভিতগুলি যত্নের সহিত সংগৃহীত হইয়াছে। তাহার মধ্যস্থলে এক স্থানে একটী কঁাচের ঘরে রক্ষিত নানা জাতীয় অদ্ভুত অদ্ভুত পুষ্প-তরু ও সুশ্ৰী পার্বত্য তরুলতা কত রং বেরংএর ফুল প্রস্রব করিয়া আপন আপন সৌন্দৰ্য্য বিস্তার করিয়াছে, উহা লেখনীর দ্বারা ব্যক্তি করা যায় না। প্ৰত্যেক পুষ্পগাত্রে একখানি টিকিট দ্বারা উক্ত বৃক্ষের নাম : কাশ পাইতেছে। এই উদ্যান মধ্যে যাহা কিছু নয়নপথে পৰি হইল, উহাতেই আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলাম, অতএব দাজ্জিলিংএ আসিয়া এই উদ্যানের শোভা দৰ্শন করিতে কেহ অবহেলা করিবেন না। কেন না - যিনি এই মনোমুগ্ধকর উদ্যানের শোভা দৰ্শন না করিবেন, তাহার সকল অর্থ ব্যয়ই বৃথা মনে করিতে হইবে। -- সন্ধ্যার পর সহর মধ্যে যখন প্ৰত্যেক গৃহগুলিতে বৈদু্যতিত আলো প্ৰজ্বলিত হয়, তখন দূর হইতে ইহার শোভা দৰ্শন করিলে মনে হয়যেন আকাশে নক্ষত্র সকল ঝকমক্‌ করিতেছে। যে পরী-রাজ্যের কথা ।