পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাৰ্জিলিং বা ভগবান দুৰ্জয়লিঙ্গ দর্শন যাত্ৰা ১৪৩ শ্রুত হয়-দার্জিলিং সহরে কি সেই সকল পরীদিগের গুপ্ত স্থান ? ফল কথা, সন্ধ্যাকালের সেই দৃশ্য অতি নয়নানন্দদায়ক । দাৰ্জিলিং সাহর মধ্যে যে হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, এক্সচেঞ্জ, পুলিস, ষ্টেশন, সেনানিবাস, গোরস্থান ও বিবিধ প্ৰকার পণ্যশালা বিদ্যমান আছে, সে গুলি একে একে বর্ণনা করিলে একখানি পৃথক প্ৰকাণ্ড পুস্তক প্ৰস্তুত হয । এই সহরের প্রধান পথ মল রোড, সেই প্ৰশস্ত পথটা সহর হইতে বহির্গত হইয়া বরাবর বিখ্যাত রঞ্জিত নামক নদীর দিকে এক পর্বতগাত্রের পাশ্বদেশ অতিক্ৰমপূর্বক ভুটিয়া বস্তির ভিতর দিয়া অপরিচিত নুতন যাত্রীদিগকে তাহার সৌন্দৰ্য্য দেখাইবার জন্য যেন আহবান করিতেছে । মল রোডের উভয় পার্শ্বে অরণ্য বৃক্ষ সকল স্বভাবের অপূৰ্ব্ব দৃশ্য দেখাইবার জন্য গর্বভরে মস্তক উন্নত করিয়া দণ্ডায়মান আছে। ইহার দক্ষিণদিকে “লিবং” এবং বামভাগে “বাৰ্চহিল” বিরাজমান থাকিয়া আপন শোভা বিস্তারপূর্বক সৃষ্টিকৰ্ত্তার মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে। এই প্রশস্ত দাৰ্জিলিং সহরের প্রধান রাস্তার অপূর্ব শোভা দেখিবার জন্য কয়েক থানি ঝিংরিস্ক, ( ছোট মানুষটানা বগী গাড়ী ) ভাড়া হইল, তৎপরে এই সহর পথের মনোমুগ্ধকর সৌন্দৰ্য্য দেখিতে দেখিতে বরাবার অগ্রসর হইয়া ভূটিয়া বস্তি পৰ্য্যন্ত গমন করিলাম । বস্তিটা সহরের সমতলভূমি হইতে অনেক নিম্নে অবস্থিত, ইহার এক স্থানে একটিী কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত সুন্দর কারুকাৰ্য্যবিশিষ্ট মন্দির বিরাজ করিতেছে। মন্দিরাভ্যন্তরে এক সুসজ্জিত বেদীর উপর ভুটিয়াদিগের একমাত্র আরাধ্যদেব "ভগবান বুদ্ধদেবের পবিত্ৰ মূৰ্ত্তি” প্রতিষ্ঠিত । দেবতার সম্মুখভাগে একটা প্রকাও স্বতের প্রদীপ প্ৰজ্বলিত অবস্থায় বুদ্ধ অবতারের শ্ৰীমুখের সৌন্দৰ্য্য দেখাইবার জন্য অবস্থিত। ভুটিয়ারা সকলেই বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম