পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRNë তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী কাতর-তাহার উপর বেলা অতিরিক্ত হওয়াতে উক্ত পাণ্ডার উপদেশ মত বিশ্রাম করিতে মনস্থ করিলাম। প্ৰভাসক্ষেত্রে আহারীয় খাদ্য দ্রব্যের কোন অভাব নাই ৷ পর দিবস প্ৰত্যুষে যথাসময় যথানিয়মে এখানকার তীর্থ কাৰ্য্যগুলি সম্পন্ন করাই বার জন্য পাণ্ডা ঠাকুরকে অনুরোধ করিলে তিনি সন্তুষ্টচিত্তে সর্বপ্রথমে আমাদিগকে সঙ্গে লইয়া ভাসের পবিত্র ত্ৰিবেণী গঙ্গায় স্নান, তৰ্পণাদি সম্পন্ন করাইতে যাত্ৰা করিলেন । এই সময় তিনি আমাদিগকে বলিলেন, আপনার পঞ্চরত্ন বা তীৰ্থ ক্রিয়া সম্পাদনের নিমিত্তে যদ্যপি কোনরূপ দ্রব্যসম্ভার আনিয়া থাকে স্না, তাহা হইলে ঐ সকল সামগ্ৰী গুলি বাহির করুন, তখন আমাদের সঙ্গী বন্ধুটী বলিখেন, “গুরুজি ! আমাদের নিকট স্বানের নিমিত্ত গ্যাস দ্য , পঞ্চরত্ন আর "দ ব্যসম্ভারের মধ্যে কেবল মূল্য ব্যতীত অপর কোন কিছুই নাই। এ তীর্থে যাহা কিছু আবশ্যক, আপনি কৃপাপুৰ্ব্বক আমাদের দেয় মূল্য হইতে সেই সকল সংগ্ৰহ করিলে আমরা বিশেষ উপকৃত হইব। তিনি একবার তখন মৃদু হাস্য সহকারে আমাদের মূল্য হইতে একে একে সমস্ত দ্ৰব্য-সামগ্ৰী সংগ্ৰহ করিয়া লই 〔可可卜 ধৰ্ম্মশালা হইতে বহির্গত হইলে তিনি অগ্ৰগামী হইয়া বা ' *'র এক প্ৰাচীন বটবৃক্ষমূলে উপস্থিত হইলেন ; যথায় শিবমন্দির স্থাপিত, যে মন্দিরাভ্য স্তরে তীর্থনাথ ভগবান মস্কেলেশ্বরের লিঙ্গামূৰ্ত্তি দেদীপ্যমান । পুরোহিত ঠাকুর এই স্থানে আমাদিগকে বলিলেন, এক্ষণে আপনা দিগকে এই বটবৃক্ষমূলের শীতল ছায়ায় তীর্থনাথের সম্মুখে বসিয়া প্ৰভাস । স্বানার্থে পঞ্চরত্নাদি সহ সঙ্কল্প দ্বারা প্ৰত্যে ককে মন্ত্র উচ্চারণা করিয়া মস্কে লেশ্বর দেবকে সাক্ষ্য রাখিতে হইবে । তিনি যেরূপ আদেশ করিালেন, পুণ্যসঞ্চায়ের নিমিত্ত আমরা সকলে নতশিরে তাহাই পালন করিয়া