এমন ব্যবস্থা করেছিলেন, যে গাড়ীর ভিতর একটু জল পর্য্যন্তও পড়্তে পায় নাই। কুলী বেটাদের কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এতক্ষণ হাঁড়িটে সরিয়েছে—তা’দের পূজোর বাজারে সন্দেশ টন্দেশ্ যা কিছু, এমনি করে উপরি লাভ।
কথাটা মনে হবামাত্র, ছোটভাই আপনাদের সেই গাড়ীটির দিকে গেলেন। একটু দূরে থেকে দেখ্লেন, গাড়ীটির নিকটে কেউ নাই। দরজা খুলে দেখেন—হাঁড়িটি কে সরিয়ে ফেলেছে। গাড়ীর অপর দিক দিয়ে উঁকি মারলে দেখা গেল, এক বেটা কুলী, অল্প একটু দূরে, গায়ে কাপড় চোপড় ঢাকা দিয়ে যাচ্ছে। এত আর শীতকাল নয়, যে গায়ে কাপড় দেবার দরকার। বেশ বুঝ্তে পাল্লেন—কুলী বেটা সন্দেশের হাঁড়ী আপনার বাসায় রাখতে যাচ্ছে। সে যখন অনেক দূর গেছে, আর এ দিকে ষ্টীমার ছাড়বারও দেরী নাই, তখন প্ল্যাটফরমে একজন কনষ্টেবল দেখ্তে পেলেন। বল্লেন—“দেখো কনষ্টেবল্ হামারা একঠো মিঠাইকা হাণ্ডী ইয়ে কামরামে থা, লেকিন আবি মিল্তা নেই। হাম দেখা, এক কুলী ছিপাকে একঠো হাণ্ডী লেযাতা হ্যায়। হাম উস্কো কো দেখলানে সেক্তা। চলা আও হামারা সাথ।”
এই বলে, সেইখান থেকেই সেই পলাতক কুলীকে দেখিয়ে দিলেন। কনষ্টেবল সেই লোকটার দিকে চল্লো, তিনি নিজে ষ্টীমারে ফিরে এলেন। ষ্টীমারও তখনই ছেড়ে দিলে।
ছোটভাইটি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। তিনি থাকতে থাকতে