পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৬০
সঞ্চয়িতা
৮৬০

৮৬০ সঞ্চয়িতা

৫৫৩-৭৪ পলাতকা। সংকলিত প্রথম চারিটি কবিতা ১৩২৫

       সালে বিভিন্ন সাময়িক পত্রে বৈশাখ হইতে শ্রাবণ 
       মাসের মধ্যে প্রকাশিত। কবিতাগুলি, রবীন্দ্রনাথের
       পাুণ্ডুলিপিতে যে ক্রম দেখা যায় সেইমত সন্নিবিষ্ট
       হইয়াছে।

৫৫৩ মুক্তি। সবুজপত্রের ১৩২৫ বৈশাখ সংখ্যায়

       প্রকাশিত। ১৩২১ শ্রাবণ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত 
      'স্ত্রীর পত্র” গল্পের সহিত তুলনীয়।

৫৮০-৬০৮ পূরবী। সংকলিত প্রথম তিনটি বাদে সমন্ত

       কবিতাই ১৩৩১ সালে রবীন্দ্রনাথের যুরোপ ও 
       আমেরিকা -ভ্রমণকালে লিখিত।

৫৯১-৯৩ সাবিত্রী। যাত্রী পুস্তকে "পশ্চিমযাত্রীর ডায়ারি”

       অংশে এই কবিতা সম্পর্কে ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে 
       কবি লিখিতেছেন, “কাল অপরাহে ... শুরু 
       করেছি,আজ সকালে শেষ হল।, প্রবাসী পত্রিকায় 
       ও পাওুলিপিতে অতিরিক্ত দুইটি স্তবক দেখা যায় 

৬১৩ কুটিরবাসী। ইত্যাদি ভূমিকা-

            তরুবিলাসী আমাদের এক তরুণ বন্ধু এই 
      আশ্রমের এক কোণে পথের ধারে একখানি 
      গোলাকার কুটির রচনা করেছেন। দেটি আছে 
      একটি পুরাতন তালগাছের চরণ বেষ্টন ক'রে। তাই 
      তার নাম হয়েছে তালধ্বজ। এটি যেন মৌচাকের 
      মতো, নিভৃতবাসের মধু দিয়ে ভরা। লোভনীয় 
      বলেই মনে করি, সেই সঙ্গে এও মনে হয়, 
      বাসস্থান সম্বন্ধে অধিকারভেদ আছে ; যেখানে 
      আশ্রয় নেবার ইচ্ছা থাকে সেখানে হয়তো আশ্রয় 
      নেবার যোগ্যতা থাকে না।
     কবিতার পাণ্ডুলিপিতে  আরন্তেই এই তিনটি 
     অপ্রকাশিত স্তবক পাওয়া যায়
             বাসাটি বেধে আছ মুক্তদ্বারে
             বটের ছায়াটিতে পথের ধারে।
 যা কেন হলে করে এই ছেলেটির মধ্যেই তাহার অনন্তের 
 অবসান? অনন্তের পথে যেখানে পৃথিবীর সকল ছেলে 
 মিলিয়া খেলা করে, একটি ছেলে মায়ের হাত ধরিয়া 
 মাকে সেই ছেলের রাজ্যে লইয়া যায় - সেখানে শতকোটি 
 সন্তান । [অগ্রহায়ণ ১২৯২]