পাতা:সতুর মা.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । বেণীপ্রসাদের প্রবাস গমনের পরদিনই আকাশে হালির ধূমকেতু দেখা দিল । ছোট বড় অনেকেই বলিল *এবার লক্ষণ বড় ভাল নয়।” চাকরাণী মহলে কথা উঠিল আকাশে যখন “বঢ়ানি” * উঠিয়াছে তখন এ বৎসর লোকের প্রাণ বাচান ভার হইবে ; ওই বঢ়ানি যখন দেশের আনাজ ( ধান, গম, জনারি, বজারি, মুগ, কড়াই প্রভৃতি) ঝাড় দিয়া লইয়া যাইবে তখন কি আর দেশে কিছু থাকিবে ? সকলে না খাইয়া মারা যাইবে। অনেকেই একথা শুনিল। শীঘ্র শীঘ্ৰ যাহাতে ধূমকেতু পৃথিৰ হইতে যায় তাহার জন্য অনেকেই দেবীর পূজা মানিল । সকলেরই মনে অল্প বিস্তর ত্রাসের সঞ্চার হইল। বাড়ীর চাকর দাসীদের মুখে রামদুলারাও শুনিল কিন্তু তাহার মনে বিশেষ কোন ভাবের উদয় হইল না, কথাটি বেশীক্ষণ মনেও রহিল না। আজকাল তাহার মনে বেণী প্রলাদের চিন্তাই প্রবল হইয়াছে। তাহার আদর্শনের কষ্টই

  • পশ্চিমে সাধারণ অশিক্ষিত লোক ধূমকেতুকে “কানি"

অর্থাৎ ঝাটা বলিয়৷ থাকে । OHළු