হালির ধূমকেতু বুয়া, কাহার মউসি, কাহারও, চাচী অথবা দাদী হইয়া, তাহাদের বাড়ী যাওয়া আসা করিয়া, কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া, ভজন গাহিয়া কোন রকমে দিন কাটাইয়া দেয় । . রামদুলারী ভজন শুনিতে চাহিলে অন্যদিনের মত গান আরস্তু না করিয়াঁ পৈরাগিয়া সবিষাদে কহিল—“ভজন কেয়া শুনোগী বেটী, হাসনে বোলনে কে দিন বতা, আব জান সাম্হালনে কি দিন আ গিয়া ।” রামদুলারী উদ্বিগ্ন হইয়া জিজ্ঞাসা করিল—“র্কেও বুয়া ? য়্যায়সা কেঁও বোলতী হো ? হুয়া কেয় ?” পৈরাগিয়া একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিল—“কেয়া বর্তীউ বেটি তুমহে ? তুম তো শুনতেহা কাপ উঠোগী ?” রামদুলার কোলের ছেলে ভূমে নামাইয়া পৈরাগিয়ার হাত দুটি ধরিয়া, সামুনয়ে ব্যাপার কি স্পষ্ট করিয়া ললিতে বলিল । কোন অজানিত বিপদাশঙ্কায় তাহার হৃদয় কঁাপিতে লাগিল । পৈরাগিয়া তখন ধূমকেতুর উল্লেখ করিয়া বলিল— “সত র তারিখ কে তো সুরজ নারায়ণসে আউর বঢ়ানিসে বড়ি লড়াই হোই ; উস্কে পিছে আঠার তারিখকে ভুইডোল * আওয়েগা, জিসমে নীচে পিগী উপর হোগা,
- ভূমিকম্প ।
) {9న
