পাতা:সতুর মা.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হালির ধূমকেতু কপালের ঘাম মুছিয়া পৈরাগিয় তাহার পার্শ্বে বসিল। বুড়ীকে ক্লান্ত দেখিয়া রামদুলার একটু অপেক্ষা করিয়া কথাবাৰ্ত্ত আরম্ভ করিল। নানা কথার মাঝে সে অমুরোধ করিল—“তু এক ভজন শুনায় দেও বুয়া ।” বুয়ার মুখে ভজন শুনিতে রামদুলারার ভারি ভাল লাগে। কত লোক ভজন গাহে, কিন্তু পৈরাগিয়ার মত এমন সুন্দর করিয়া খুব অল্প লোকই ভজন গাহিতে পারে, সে জন্য শুধু রামদুলারী নহে, অনেকেই তাহার গানের ভক্ত। যে একবার শুনিয়াছে সে বারবার শুনিতে চায় । ভজন গাহিতেও পৈরাগিয়ার আলস্য নাই । ভোর পাচট হইতে নিশীথ রাত্রি পর্য্যন্ত —খাইতে, শুইতে কৰ্ম্ম করিতে, পথ চলিতে, আপন মনে পৈরাগিয়া ভজন গাহিয়া নিজের মনের প্রসন্নতা রক্ষা করে। পৃথিবীতে তাহার আপন বলিতে কেহ নাই ; সকলি বিসর্জন দিয়া একটি মাত্র পুত্র লইয় পৈরাগিয়া সংসারে দাড়াইয়াছিল ; কয়েক বৎসর হইল তাহাকেও বিসর্জন দিতে হইয়াছে! পুত্রবধূ পিত্রালয়ে গিয়া আবার বিবাহ করিয়াছে, তাহার সহিতও পৈরাগিয়ার সম্বন্ধ ঘুচিয়াছে। সকলে ভাবিয়াছিল এইবার বুঝি পৈরাগিয়া পাগল হইয়া যাইলে, কিন্তু ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদে তাহাকে পাগল হইতে হয় নাই, পাড়ার লোকের কাহারও ృఅly