পাতা:সতুর মা.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হালির ধূমকেতু হে মা কল্যাণী ! হে মারি! আমার অপরাধ মার্জন কর! মহাপ্রলয়ের আগে একবার তাহার নিকট আমার অপরাধ স্বীকার করিয়া ক্ষমা ভিক্ষা করিবার সময় দাও ! সে দিন সমস্ত রাত্রি রামদুলারীর চিন্তু ও অশ্রুবর্ষণে অতিবাহিত হইল। গ্রীষ্মাধিক্যের জন্য গৃহের বাহিরে ছাদের উপর সুখলালকে লইয়া রামদুলারী শয়ন করিয়াছিল। রাত্রি তিনটার সময় পূর্বদিকের আকাশে উজ্জ্বল ধূমকেতু দেখা দিল ; অন্যদিনের ন্যায় কৌতুহলী দৃষ্টিতে আর সে তাহা দেখিতে পারিল না, সজল নয়নে কিছুক্ষণ তাহার প্রতি চাহিতে চাহিতে তাহার মনে হইল, সেই বণটাকৃতি রক্তবর্ণ ধূমকেতু যেন তাহার রক্তজিহব। প্রসারণ করিয়া পৃথিবী গ্রাস করিতে আসিতেছে ; যেন উজ্জ্বল নয়নে বিশেষ ভাবে তাহারই দিকে চাহিয়া বলিতেছে —“দে রামদুলার তোর সুখলালকে আমায় দে, একে একে তোর আপনার লোক গুলিকে আমায় সমপণ কর, শেষে তুই নিজেও আমার মুখে এই উজ্জ্বল আগুনের মাঝে কাপ দে।” ধূমকেতুর সে আহবান যেন সে স্পষ্ট শুনিতে পাইল, শিহরিয়া রামদুলারী দুইহাতে চোখ ঢাকিল। চক্ষু মুদ্রিত করিয়াও নিস্তার নাই, মানস-নেত্রে সে সূরজনারায়ণের সহিত বঢ়ানির ভীষণ যুদ্ধ দেখিতে እ ዓ8