পাতা:সতুর মা.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হালির ধূমকেতু দিয়া বেণীপ্রসাদ গৃহে किब्रिन । দেউড়িতে পা দিতে তাহার পা কঁাপিতে লাগিল, বুঝি বা কি অমঙ্গলের কথা তাহাকে শুনিতে হয় ! কাহারও রোদনধ্বনি বুঝি বা তাহার কাণে যায়! উদ্বেগ-ব্যাকুল চিত্তে বেণীপ্রসাদ অন্তঃপুর অভিমুখে অগ্রসর হইল, কিন্তু কোন দিকে কোন অশুভ চিহ্ন তাহাকে অধিকতর ব্যপিত করিল না । অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়া উপরে উঠিতেই ত্রিবেণীনারায়ণ ও মোহনীর সহিত' সাক্ষাৎ হইল । তাহার। হঠাৎ বেণীপ্রসাদকে দেখিয়া বিস্মিত হইয়া গেলেন ! বেণাপ্রসাদ ত্রিবেণীনারায়ণকে টেলিগ্রাম দেখাইয়া রামদুলারীর সংবাদ জিজ্ঞাসা করিল। তিনি তাহার সুস্থ সংবাদ দিয়া শ্যামলালকে ডাকিয়া পাঠাইলেন । শু্যামলাল আসিলে তাহার নিকট হইতে অনেক সংবাদ প্রকাশ পাইল । আগাগোড়া সকল কথা পরিষ্কার হইলে মোহনী ত হাসিয়া আকুল । চিন্তার আধিক্যে রামদুল্লারী যে তারিখ ভুলিয়া গিয়াছে, মোহনা ইহাও বুঝিলেন । ঘটনাট তাহার খুবই আমোদজনক বোধ হইল । ত্রিবেণীনারায়ণ হাসিয়া বলিলেন “তা বেশ ভালই হয়েছে, বেণীর চাকরী করার সাধটাও খুব অল্পদিনেই মিটে গেল ।” > ૨