পাতা:সতুর মা.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতুর মা অ্যথা প্রভুত্বের বিরুদ্ধে তাহারু অর্থপূর্ণ নীরব দৃষ্টির কষাঘাতে –তাহার তীক্ষ সতর্ক দৃষ্টির সম্মুখে তিনি সরমসঙ্কোচে কাতর ; তাহার গর্বব ক্ষুণ্ণ, চেষ্টা ব্যর্থ, শক্তি পরাজিত। তুচ্ছ একটা দীনহীন দাসীর কাছে নিশি দিন এ পরাভব অসহনীয়। সুতরাং বহুদিনের যুক্তি পরামর্শের পর নবদুর্গার এই শক্তিহীন অবস্থায় তাহাকে "বিদায় করাই স্থির হইল। একবার কেবল কর্তার অনুমতির অপেক্ষ । কিন্তু কর্তা কি সহজে তাহাতে সম্মত হবেন ? সতুর মা’র দোষ ত তা’র চোখে বড় পড়ে না ? তাতেই ত মাগী অত বেড়ে উঠেছে । যাহা হউক শ্বশ্রীঠাকুরাণীর প্রস্তাব অবিলম্বেই কর্তার কানে উঠিল। গৃহকৰ্ত্তা রাজেন্দ্র বাবু বলিলেন,—“এতকালের পুরোণ লোক, আমি যাও বলতে পারব না। তবে, ওর জন্যে নেহাত যদি তোমরা অসুবিধা বোধ কর, বল না হয় ছোট খুড়ীর কাছে কাশীতে ওকে পাঠিয়ে দিই। ছোট খুড়ী একলা মানুষ—র্তার সামান্ত যা কিছু কাজ কৰ্ম্ম করবে, খাবে, থাকবে, এখান থেকে পেন্সনের মত মাসে মাসে দু চার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যাবে।” মনে মনে বিরক্ত হইয়া ভাবিলেন—রোজ রোজ আর এ ঝঞ্ঝাট রাখব না। আজ একথা কাল সেকথা আর শুনতেও পারি ● ●