পাতা:সতুর মা.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বেশ্বর দর্শনে ভোগ করিত। গভীর রজনীতে নিদ্রাহীন চক্ষে চিন্তা ভাবিত—এ দারুণ দৈন্য ঢাকিকার কি কোনো উপায় নাই ? এ লজ্জাজনক হীনাবস্থা হইতে উদ্ধারের কি কোনো সহজ পথ নাই ? সত্য বটে সহরে অন্যের তুলনায় চিন্তাহরণের জীবন নিতান্তই একঘেয়ে রকমে চলিতেছিল । কিন্তু তাহার সেই বৈচিত্র্যহীন জীবনকেই চালাইবার জন্য গ্রামে তাহার জনকজননীকে যে দুঃখ বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়া চলিতে হইত্তেছিল, চিন্তার তাহ ভাবিবার অবসর— বুঝিবার সামর্থ্য ছিল না। স্নেহাধিক্য বশতঃ পিতা মাত৷ পুত্রকে এ সম্বন্ধে কিছু জানাইয়া ভাবনায় ফেলিতে চাহিতেন না। এক একবার নিতান্ত অর্থ-কষ্টের উপর নিজের শরীর যখন অবসন্নতার ভাবে ভাঙিয়া পড়িতে চাহিত ; সেই সময় চিন্তার পিতা বলিতেন—“আর না এইবার চিন্তাকে বলে পাঠাই আমার সাধ্যে যতদূর হবার হয়েছে, এখন তুমি নিজের পড়ার খরচ নিজে কোনো রকমে চালিয়ে নেও, এই বুড়ে বয়সে দুর্বল দেহে ঋণের ভাবনা আর ভাবতে পারি নে।” কিন্তু যোগমায়া বলিতেন,—“আহ একে বাছা আমায় একলা বিদেশে পড়ে আছে, তার উপর আমাদের দুঃখের কথা শুনিয়ে তাকে ভাবানে কি আমাদের উচিত ! শুনেই-বা সে কি করবে, এখন আমরা by e