পাতা:সপত্নী সরো.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՀ সপত্নী সরো । অক্ষপাত করিলেন। মাত কহিলেন, “গোলাপ, কাদিস নে—আমি যত দিন বেঁচে অাছি, তত দিন কাহারও কিছু ক্ষমতা থাকবে না। কিসের গেজেট ?—কে গ্রাহ করে । বলি দুঃখির ছেলে অনেক দিন আছে, খেটে খাচচে,—খাকৃ * । গোলাপ কহিল, মা—তোমার সংসারের মধ্যে দেখচি যে দেওয়ান মহাশয় একটি ধৰ্ম্মভীত লোক আছেন। দাদাবাবুকে তিনি নাকি বলেছিলেন, “ যে জীখানি বিশ্বাসদের চিরকালের সম্পত্তি, তাহ হইতে তাহাদিগকে বলপূৰ্ব্বক বঞ্চিত করা অন্যায় হইবে। তবে কী ঠাকুরাগীকে অগ্রে জিজ্ঞাসা করি, তিনি যেমত বলেন—সেই মত হইবেক”। তাহাতে দাদাবাবু কহিলেন, “ তিনি মেয়ে মানুষ, এ সকল বিষয়ের কি বোঝেন ? ” বাটতে যে সরো ভাণ্ডার্নী আছেন, তিনিতে এক স্বপণখা,—যে কথাটি হয় গেজেটের কাণে তোলেন । গেজেট তাহ প্রকাশ করিয়া দাদাবাবুকে কহে। আর দাসীগুলিনতে এক একটি ধিঙ্গি। কাকেও কোন কথাটি ক’বার যে নাই। বিশেষতঃ সরে । এমন মেয়ে দেখি নাই মা। এক ভাঙ্গচে এক গড় চে । কখন কা'কে দয়া করে তা সেই জানে। বিশ্বেসরা যেন তার চোকের বালি হয়েছে। একি মা-পেটের ছুরিতে পেট, কাটে ! তারি তো জাতকুটুম বটে । মাতা এই সমস্ত কথা শুনিয়া সরোধে কছিলেন, “গোলাপ তুই এখন যা । আমি এর প্রতিকার করবে। কেমন তোর দ্বাজাবাবু, আর কেমন তার গেজেটু, আর কেমন সরো ভাণ্ডার্নী,—ত আমি বুঝবো ইহা শুনিয়া কৃতাশ্বাসিত গোলাপকুমারী প্রবোধ পাইয়া নিজ প্রকোষ্ঠে প্রস্থান করিলেন। পথে বাইতে বাইতে সিড়ির উপর সরস্বতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল। যে হেতুক গোলাপকুমারীর সঙ্গে কত্রী ঠাকুরাশীর যখন কথোপকথন হুইতে