পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sí q, fŠI MEN Veኮማt፬ ቕqi yrà আমরা সব বুঝি বা নাই বুঝি, আমরা একথা বুঝি যে ভাষার পরিবর্তন ঘটুবেই। কারণ বাঙ্গালীজাতি বা বাংলা-ভাষা সৃষ্টিছাড়া একটা পদার্থ নয়। আর পৃথিবীতে এ যাবৎ সকল ভাষা সম্বন্ধে যে নিয়ম খেটে এসেছে, বাংলা-ভাষা সম্বন্ধেও সে নিয়মের যে ব্যতিক্রম হবে না। এই সিদ্ধান্ত করাই যুক্তিযুক্ত। বেদের ভাষা ও কালিদাসের ভাষায় কি আকাশ পাতাল প্ৰভেদ । চসারের ভাষা, সেক্ষপীয়রের ভাষা, ভিক্‌টোরিয়া যুগের ভাষা, প্ৰাচীন ও নব্য ফরাসী-ভাষা একটা ক্রম পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে চলে এসেছে। বাংলায় রামমোহনের ভাষা, বঙ্কিমের ভাষা। এই পরিবর্তনের নিয়মেরই সাক্ষ্য দেয়। সুতরাং এই পরিবাৰ্ত্তন যে বঙ্কিম পৰ্য্যন্ত এসে থেমে যাবে, বিশেষতঃ বর্তমানে উৰ্দ্ধগতিশীল বাঙ্গালীজাতির সাহিত্যে, বঙ্কিমের ভাষাই যে শেষ কথা এ,সিদ্ধান্ত করা কোনক্রমেই সমীচিন নয় । কিন্তু পরিবর্তনের বিরোধী একদল চিরকালই আছে। মানুষের দুটী গুণ প্ৰকৃতিগত-একটী পুরাতনের প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যটি নূতনের প্ৰতি টান। কিন্তু আমরা যে দলের কথা বলছি তঁদের নূতনের প্ৰতি টান অপেক্ষা পুৱাতনের প্রতি শ্রদ্ধার মাত্ৰাই অধিক। সুতরাং এর পুরাতনকেই আঁকুড়ে ধরে থাকতে চান। এমন কি বঙ্কিম যখন কটমট পণ্ডিতী বাংলার পরিবর্তে দুৰ্গেশনন্দিনীতে অপেক্ষাকৃত কথ্য-ভাষার কাছাকাছি ভাষা চালালেন তখনও একদল ছিলেন যারা বঙ্কিমের সে ভাষাকে স্নেহের চক্ষে দেখতে পারেন নি। কিন্তু আজি যখন সেই পণ্ডিতী বাংলা আর বঙ্কিমের বাংলা তুলনা করে” দেখি তখন তঁাদের, বঙ্কিমের ভাষার বিরুদ্ধে সেই আপত্তি দেখে আশ্চৰ্য্য বোধ করি। তঁরা সহজটাকে যে কেন বক্র করে দেখেছিলেন তা আমরা