পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের হাসির গান S ( ) এক যুক্তি-তর্কের সাহায্যে, আর এক বিজ্ঞাপের দ্বারা। যিনি আমাদের মনের উপর জ্ঞানের আলো ফেলেন, তার উপরেও আমাদের রাগ হয়,- আর যিনি হাসির আলো ফেলেন, তার উপরে তার চাইতে ও ঢ়োর বেশি রাগ হয়, কেননা হাসির অন্তরে যে দাহিক শক্তি আছে, জ্ঞানের অন্তরে তা নেই। এ জাতীয় লেখকদের সমাজ প্ৰথমে শত্রু বলেই জ্ঞান করে। কেননা তারাই যে সমাজের যথার্থ বন্ধু— সে সত্য আবিস্কার করতে সময় লাগে। সুতরাং যে সমাজ রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগরের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে উঠেছিলেন, সে সমাজের নিকট দ্বিজেন্দ্রলাল যে শুধু বাহবা ও করতালি লাভ করেছিলেন, এ বড়ই আশ্চর্যের বিষয়। কেননা, দ্বিজেন্দ্রলাল যা-কিছু জাতীয় জীবনের পক্ষে ক্ষতিকর মনে করতেন, তার পৃষ্ঠে চাবুক প্রয়োগের যে পক্ষপাতী ছিলেন, এ কথা তিনি ক্লিজ মুখেই স্বীকার করেছেন। আর আমরা যে কেউ চাবুক খেতে ভালবাসিনে,-না দেহে, না মনে,-এ সত্য ও সর্বলোকবিদিত। তারপর দ্বিজেন্দ্রলালের হাসির গান ও কবিতা কাব্য’ বলে’ গ্ৰাহ্য করবার অনেক বাধা ছিল । তার ভাষা। যেমন অপূর্ব, তার ছন্দবন্ধও তেমনি অপূর্ব ; এতই অপূর্ব যে, তা অদ্ভুত বললেও অতুক্তি হয় না। রচনার যে ऊशैरैि अगाएनन्न পুর্বপরিচিত নয়, যে ধরণের কথা আমাদের শোনা অভ্যোস নেই, তা উচ্চারণ করবমাত্র আমাদের কাণে বিসদৃশ লাগে । এত বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও দ্বিজেন্দ্রলালের গান বাঙ্গালী সমাজের কাছে যে এত প্রিয় হয়ে উঠেছিল, তার

        • ীয় কারণ তাতে রস ছিল। শাস্ত্ৰমতে হান্তরস ও রস ।

R'A