পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

boo সবুজ পত্ৰ । vitrij, Yere তার শোবার ঘরে বন্দী করে চলে গিয়েছে। রাতিলাল ঠেলে, ঘুসো মেরে, লাথি মেরে সেই অন্ধকূপের কপাট ভাঙ্গাবার চেষ্টা করে দেখলে সে চেষ্টা বৃথা। সে কপাট এত ভারি। আর এত শক্ত যে, কুড়োল দিয়েও তা কাটা কঠিন। কিরীটিচন্দ্ৰ সেই অন্ধকার ঘরে বন্ধ হয়ে প্ৰথমে ককিয়ে কঁদতে লাগিলে, তারপর রীতিলালকে দাদা দাদা বলে ডাকতে লাগলে। দু' তিন ঘণ্টার পর তার কান্নার আওয়াজ আর শুনতে পাওয়া গেল না। রীতিলাল বুঝলে সে কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর তিন দিন তিন রাত নিজের ঘরে বন্দী হয়ে, রীতিলাল কখনও শোনে যে কিরীটিচন্দ্ৰ দুয়োরে মাথা ঠুকছে, <5*R9 Goito Got কঁদছে, আবার কখনও বা চুপচাপ। রীতিলাল এই তিন দিন, কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হয়ে দিনের ভিতর হাঙ্গার বার পাগলের মত ছুটে গিয়ে সেই কপাট ভাঙ্গতে চেষ্টা করেছে।-অথচ সে দরজা একচুলও নাড়াতে পারে নি । যখন কান্নার আওয়াজ তার কাণে আসত, তখন রাতিলাল দুয়োরের কাছে ছুটে গিয়ে বলত "দাদা দাদা আমন করে” কেঁদনা, কোনও ভয় নেইআমি এখানে আছি”। রীতিলালের গলা শুনে সে ছেলে আরও জোরে কেঁদে উঠত, ঘন ঘন কপাটে মাথা ঠুকত। রাতিলাল তখন দুই কাণে হাত দিয়ে ঘরের অন্য কোণে পালিয়ে যেত, ও চীৎকার করে কখনও রঙ্গিণীকে কখনও ধনঞ্জয়কে ডাকত, এবং যা মুখে আসে তাই বলে গালি দিত। এই পৈশাচিক ব্যাপারে সে এতটা হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিল যে, কিরীটিচন্দ্রের উদ্ধারের যে অপর কোন ও উপায় হতে olicन, ७ कथ। भूलूईन अन्य७ उांद्र भान उपग्र दम्र नि, उांद्र जकल মন ঐ কান্নার টানে সেই অন্ধকূপের মধ্যেই বন্দী হয়ে ছিল। তিন দিনের পর সেই শিশুর ক্ৰন্দনধ্বনি ক্রমে অতি মৃদু, অতি