পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা আহুতি እኹ”ፃ ক্ষীণ হয়ে এসে, পঞ্চম দিনে একেবারে থেমে গেল। রাতিলাল বুঝলে কিীটচন্দ্রের ক্ষুদ্রপ্রাণের শেষ হয়ে গিয়েছে। তখন সে তার ঘরের জানালার লোহার গরাদে দু হাতে ফাঁক করে, নীচে লাফিয়ে পড়ে এক দৌড়ে রত্নময়ীর বাড়ী গিয়ে উপস্থিত হল। সেদিন দেখলে অন্তঃপুরের দরজায় প্রহরী নেই, পাঠানপাড়ার প্রজারা সব ছেলে খোঁজবার জন্য নানা দিকে বেরিয়ে পড়েছিল। এই সুযোগে রীতিলাল রত্নময়ীর নিকট উপস্থিত হয়ে সকল ঘটনা তার কাছে এক নিঃশ্বাসে জানালে। আজ তিন বৎসরের মধ্যে রত্নময়ীর মুখে কেউ হাসি দেখে নি। তার ছেলের এই নিষ্ঠুর হত্যার কথা শুনে তার মুখ চোখ সব উজ্জ্বল হয়ে উঠলে, দেখতে মনে হল সে যেন হেসে উঠলে। এ দৃশ্য রীতিলালের কাছে এতই অদ্ভুত বোধ হল যে, সে রত্নময়ীর কাছ থেকে ছুটে পালিয়ে কোথায় নিরুদেশ হয়ে গেল - তারপর সেই দিন দুপুর রাত্তিরে—যখন সকলে শুতে গিয়েছেরত্নময়ী নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে। সকল সরিকের বাড়ী সব গায়ে গারে। তাই ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সে আগুৰি, দেবতার রোষাক্সির মত ব্যাপ্ত হয়ে ধনঞ্জয়ের-বাড়ী আক্রমণ করলো। ধনঞ্জয়, ও রঙ্গিণী ঘর থেকে বেরিয়ে পালাবার চেষ্টা করছিল, সদর ফটকে iALLL LLLL BDDBDBD S BBD EuBDD LeB LBDEB S LKS D সড়ক ও তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রত্নময়ীর আদেশে তারা ধনঞ্জয় ও রঙ্গিনীকে সড়কির পর সড়কির ঘ'য়ে আপাদমস্তক ক্ষতবিক্ষত করে সেই জ্বলন্ত আগুনের ভিতর ফেলে দিলে। ফ্ৰময়ী আমনি অট্টহান্ত করে উঠল। তার সঙ্গীরা বুঝলে যে সে পাগল হয়ে গিয়েছে। উীপর সেই পাঠানপাড়ার প্রজাদের মাথায় খুন চড়ে গেল, তারা