পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(RVU) সবুজ পত্ৰ Rtv, oro আর মানুষগুলো ত সেখানকার সব সত্য যুগের। হিংসা নেই, দ্বেষ নেই, কপটতা নেই, জাল নেই, জুয়োচুরী নেই। মানুষের অন্তর যেন শ্বেত পাথরের মতই নিরাবিল ও ধপধাপে, তার গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি, এক ফোটা কালিও পড়ে নি। বাঃ কি অপুর্ব সে । দেশ ! যেখানে শান্তি আছে, স্বাস্থ্য আছে, সৌন্দৰ্য আছে। তারপর আরো বলছি। কল্পনার চোখে দেখলুম সমস্ত দিন শিকার করে আমরা যেন হয়রাণ হয়ে এসে বসেছি ;-নদীর ধারে, গাছের তলায়, ঘাসের উপরে। সে ঘাস কেমন শ্যামল, কত মৃদুল, কি কোমল! আর তখন দিনও নেই, রাতও আসেনি। সূৰ্য্যও ডুবেছে, চান্দও ওটেনি। প্ৰকৃতি কি শান্ত কি সৌম্য কি সুন্দর কি মধুৱা ! তার উপর আবার বির-বির করে বাতাস বচ্ছে। সে বাতাস ফল ফুলের সৌরভ। আকাশের গায়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে। গাছের সবুজ পাতা থর-থর করে কঁপিছে। অতি মৃদু অস্ফুট কুলু-কুলু রবে ছোট্ট নদীটি প্রেমের অভিসারে ত্ৰস্তচরণে চলেছে। একটা হংস আর একটি হংসী তরঙ্গের অঙ্গে ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছে। কত কি প্রেমের অভিনয় করছে। কি জানি কেন এক একবার পৃথক হয়ে পড়ছে। আবার বড়ই আবেগে ছুটে এসে দুটো এক হচ্ছে। বিরহের পর মিলন, মিলনের পর বিরহ পালায় পালায় হয়ে যাচ্ছে। পাড়ের একটি গাছের ডালে সাত রঙ্গের ছোট্ট একটি পাখী বড়ই মুখ ভার করে বসে রয়েছে,-যেন অভিমানভারে। আর তার জুড়িটি এ ডাল ও ডাল, করছে। এক একবার এসে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে মানতঞ্জনের পালার অভিনয় করছে। অামি অবাক হয়ে দেখছি আর ভাবছি। এ