পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা with ethn's Ry > ক্ৰমিক অনুশীলনে দেশের মধ্যে যে জ্ঞানের আবাদ হইয়াছিল, তাহার গন্ধও সেই মর্ত্যের পুষ্পের সৌরভে বহুল পরিমাণে সৌরভিত । ফল কথা, জ্ঞানের আবির্ভাবের মধ্যে কখনবা একটি আকস্মিক দৈব ক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকিলেও ক্রমবিকাশের পদ্ধতিটা সেই সঙ্গে না। মানিবার জো নাই। জ্ঞানের এই দৈব ও মর্ত্য বিকাশ এক বিশেষ দেশ কাল পাত্রের বিশেষ গণ্ডীর মধ্যেই আবদ্ধ নয়, ধরাবক্ষে মানুষের স্থিতি যতদিন, ততদিনই ইহার প্রক্রিয়া সর্বত্ৰ চলিতে থাকিবে। এই বিকাশ-ক্রিয়ার মূলে যে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা চিরদিনই বিদ্যমান, ইহা বলাই বাহুল্য। কারণ বিকাশ স্থবিরত্বে সম্ভাবে না, ইচ্ছার গতিশীলতা হইতেই যে ইহার উদ্ভব । ( 8 ) তবে স্বাধীন মতের নাম শুনিলেই আমরা অতিকাইয়া উঠি কেন ? পুরাতন বন্ধনের অচলতার মধ্যে মানুষ বেশ একটা আরাম পায়। নূতনকে মানুষ স্বভাবত একটু সন্দেহের চক্ষে দেখে। DDB BBDBD BDBDD DBDBDBD BBDS BDDB DD DDB BBB করিতে পারে, একজন নুতন অতিথিকে ততটা বিশ্বাস করিতে চায় না । পুরাতন কতকটা নিশ্চিত, ইহার মধ্যে একটা শান্ত নিশ্চিন্ততা আছেই। আবার নূতনের সঙ্গে একটা উদ্বেগ ও আশঙ্কা জড়ানো। তাই নুতন অনেকেরই দু-চক্ষের বিষ। মূতনকে বিশ্বাস করা দুরে থােক, তাহাকে পরখ করিবার ইচ্ছাটাই অনেকে দাবিয়া রাখে। তাহা হইলেও এমন সময় আসে যখন ঐ পুরাতন নিশ্চিন্ত শান্তিটিই মানুষের মনের উপর একটা বোঝার মত হইয়া দাড়ায় । সে তখন