পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

スケ* সবুজ পত্ৰ vēt, ver: একটু চিন্তা করিবার স্বাধীনতার জন্য ব্যস্ত হয়। শেষে সে বুঝিতে পারে, যাহাকে সে বিষ বলিয়া ভাবিয়াছে তাহারই মধ্যে অমৃতরূপে তাহার নব জীবনের বীজই বিদ্যমান। নূতন মাত্রকেই আমরা অশুভ মনে করিব কেন ? আর এই নূতনের জননী যে মানব-মনের স্বাধীনতা, তাহাকেই বা শত্রু বলিয়া ভাবিব কেন ? যদি শত্রুর কথাই তোল, তবে দেখিবে নুতন পুরাতন উভয়ের মধ্যে সে ওৎ পাতিয়া থাকিতে পারে । পুৱাতনের বন্ধনে কিছু না কিছু জড়ত্বের জাল রচনা করে আবার নূতন স্বাধীনতার মধ্যে ও কিছু উচ্ছঙ্খলতা থাকিবার সম্ভাবনা। অবিমিশ্র মঙ্গল কোনটাই নয়। অথচ দুই-ই আমাদের চাই । যখন দুই-ই আমাদের দরকার তখন উভয়ের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য খুজিতেই হয়। কিন্তু এই সামঞ্জস্য করার ভারত আর পুরাতন শাস্ত্রের ঘাড়ে চাপানো যায় না। পুরাতন শাস্ত্র নিজে ত এখন কতকগুলো কালির অ্যাচড় মাত্র, তা সেটা ভুৰ্জপত্রেই থাকুক, আর ফুলিস্কেপেই পড়ােক । এই কালির অাঁচড়ের সঙ্গে যখন আমাদের জ্ঞানের সংযোগ ঘটে, তখনই না তঁহার গৌরব আমরা বুঝতে পারি। আর স্বাধীনতা জিনিসটি কি, তাহাত আমরা নিজেদের জীবনে পদে পদে বুঝিতেছি। মানুষ যখন শাস্ত্র ও স্বাধীনতা দুই-ই বোঝে, তখন BB EBEBDD DDDB gD BBB DBD DB KDBBD DDD S অসম্ভব তা নয়-ই, বরং মানুষ এরূপ একটা কিছু না করিয়া থাকিতে পারে না। র্যাহারা নূতনের প্রচারক তঁাহারা তা একটা সামঞ্জস্যের চেষ্টায় ফিরিবেন-ই, কিন্তু পুৱাতনের উপাসকেরা-ই কি এ বিষয়ে একেবারে উদাসীন ?