পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOtto गदूव *ब ।। আখিন, ১৩২৫ আধ্যাত্মিক তত্ত্বসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান, মানুষের জীবনে যে একটা চিরন্তনের আনন্দ-রস ধারা অনাদিকাল থেকে প্রবহমান, তার আবিষ্কার ও উপলব্ধি-সেই ধৰ্ম্মের আজ কাৰ্য্য হয়েছে হিন্দুর রন্ধনশালার বিরুদ্ধে অভিযান ! এ যেন কামধেনুকে দিয়ে ধান মাড়িয়ে নেওয়া-কামধেনুর অমৃত দেবার ক্ষমতার খোজই নেই। যদি বল যে জনসাধারণের কাছ থেকে ধৰ্ম্মের আধ্যাত্মিক দিকটার গুঢ় রহস্য হৃদয়ঙ্গম করবার আশা করা পাগলামী ।--তার উত্তর হচ্ছে এই যে, কেবল জনসাধারণ নয়, আমাদের সমাজে হোমরা চোমরা ধারা, তঁদের ধৰ্ম্মও হচ্ছে কোন দিন বেগুণ খেতে নেই ইত্যাদি । কিন্তু যাক সে কথা । এখন সনাতত্বের যে ব্যাখ্যা করা গেল, তাই যদি স্বীকার করি তবে কোন সাহসে আজ আমরা বলব যে, বৈষ্ণবের রসতত্ত্বই সকল বাঙালী হিন্দুর অন্তরে সকল কালে সরস হ’য়ে ও সত্য হ’য়ে উঠবে বা থাকবে ? এই ব্যাখ্যা অনুসারে এই সিদ্ধান্তটাই আপনি গড়িয়ে আসে যে, মানুষের বৈষ্ণবীভাব একটা ভাব, সনাতন ধৰ্ম্মে বৈষ্ণখ “রিলিজন”-এর স্থান একটা স্থান? কিন্তু সব স্থানই তার নয়। এই বৈষ্ণু “fafmማeጃማ”-ርቛ যদি বাঙালীর ধৰ্ম্মের একান্তরূপ বলে’ বাংলাদেশের উপরে চাপিয়ে দি, তবে বাঙালী হিন্দুর সনাতন ধৰ্ম্মের আসল ? उद्भझे भूल কুঠারাঘাত করা হবে। এখন এই বৈষ্ণবীভািৰ্ব যদি প্ৰত্যেক বাঙালীর কঁধে বাহির থেকে চাপিয়ে দি, তবে তঁদের মধ্যে অনেকেই হয়ত নিজের কাছে নিজে মিথ্যা হ’য়ে উঠবেন, সেই মিথ্যার মধ্যে দুর্বল যারা, তারা কোন দিন আপনার জীবনের সার্থকতা খুজে পাবেন নাআর শক্তিমান যাঁরা, তঁরা বাহিরের ঐ মিথ্যার জাল ছিড়ে ফেলে আপনার নিজের অন্তরের সত্যকে আনন্দ-বীণা’ বাজিয়ে জগতের