পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা সাহিত্যের জাতিরক্ষা °C意意 তার শক্তিহীন অবস্থার কথা । হয়ত এর মধ্যে কিছু রাজনৈতিক রহস্যও লুকিয়ে আছে। দেশের কথা যে কেবল একালেই অনেকের কাছে দ্বেষের কথা তা নয়, সকল কালেই সেটা কারো কারে কাছে কিছু কিছু তাই ছিল। যার সঙ্গে গায়ের জোরে পারিনে তাকে অস্পৃশ্য মনে করাই প্রশস্ত— এটা সকল বুদ্ধিমানেই বলবেন। ওটা হচ্ছে হিন্দু সমাজের আচারের কথা-হয়ত তার আত্মরক্ষা করবার প্ৰয়াসের চিহ্ন। তবে আমাদের এমনি কপাল যে, এখন এই সামাজিক আচার ব্যবহারগুলোই হ’য়ে দাড়িয়েছে আমাদের ধৰ্ম্মের আসল DBDDBDS DDDBDB LBBBDS S DBDBS SL S BDDYYS BBD কাছে ঘোর মিথ্যা হয়েও টিকে আছে, তার প্রধান কারণ হচ্ছে এই যে, আমরা অন্তত শতকরা আশী জনা মনে করি যে, ঐ আচারগুলোই হচ্ছে বৈতরণী পার হবার আসল “লছমন বোলা”। তাই যখন আমাদের মধ্যে সৌখীন কেউ একখানা মাটন চপের পাশে পাশেই দুটো দ্বিজবিশেষের “হাফ বয়েলড” অণ্ড নিয়ে জলযোগ করতে বসেন তখন চারিদিক থেকে অনুষ্টপ ছন্দে সমস্বরে ঐক্যতান সঙ্গীত আরম্ভ হয়ে যায়-গোল ‘ধৰ্ম্ম” গেল, “জাত” ! এখানে একথা আমার বলা মোটেই উদ্দেশ্য নয় যে, হিন্দু সমাজে বা অপর কোন সমাজে আচার বিচারে একটা পূর্ণ এনাকিজম রাজত্ব করুক, তাহলে মানুষের মধ্যে সমাজ যে জন্যে গড়ে উঠল তা ব্যর্থই হবে; কারণ সমাজের পিছনেও একটা সত্য রয়েছে। এখানে আমার বলার উদ্দেশ্য এই যে, হিন্দুর যে ধৰ্ম্মের উদ্দেশ্য ছিল-মানুষের জীবনের জটিল রহস্যের সন্ধান, মানুষের নিজের চোখের সামনে নিজেকে তুলে ধরা, নিজের সঙ্গে স্থষ্টির, জীবের সঙ্গে জগতের, জগতের সঙ্গে ভগবানের সম্বন্ধ ইত্যাদি