পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, সপ্ত৭ ও অষ্টম সংখ্যা বাঙলা কি পড়ব ? YS লাবণ্য। যে-লেখা লেখকের প্রাণে প্রাণবন্ত-সেই লেখার মধ্যেই শুধু লাবণ্যের সাক্ষাৎকার লাভ করা যাবে, অন্যত্র নয়। এই লাবণ্যই যে সাহিত্যের ভাষার সর্বপ্রধান গুণ, এ জ্ঞান সে-সব লেখকদেরও আছে, যারা রচনার ভিতর নিজের প্রাণ সঞ্চার করতে পারেন না, কিম্বা করতে চান না। জড়বস্তুর লাবণ্যের অভাব আমরা যেমন পালিসের সাহায্যে পূর্ণ করতে চাই-উক্ত শ্রেণীর লেখকেরাও তঁাদের রচনার লাবণ্যের অভাব তেমনি পালিসের প্রসাদে পুৰ্ণ করতে S S D BB DLDDB BBD DBDD DB DBY O DL পারি—ঈষৎ চকচকে করে তুলতে পারি। ভাষার জলুস স্মৃদি ভাষার ভিতর থেকেই বার করা যায়, লোহাকে যদি ইস্পাত করা যায়, সেটা अदg gagथब्र कांद्र श्व ना । ( R ) মুখের ভাষার সঙ্গে সাহিত্যের ভাষার যোগাযোগ সম্বন্ধে এই দীর্ঘ বক্তৃতা করবার একটু বিশেষ কারণ আছে। সাহিত্যের ভাষা সম্বন্ধে আমার মত আগে থাকতেই জানিয়ে না রাখলে, আমি যে সব বইয়ের হয়ে তোমাদের কাছে সুপারিস করব, তাতে তোমরা একটু বিস্মিত হয়ে যেতে পার। তোমরা যখন বাঙলা ভাষার উপর একটু পাকা রকমের অধিকার লাভ করবার জন্যই বাঙলা বই পড়তে চাও, তখন আমি তোমাদের বাঙলার চর্চা “মেঘনাদ বধ” থেকে সুরু করতে বলব না-ও-কাব্যে শেষ করতে বলব, আর গোড়ায় এমন সব বই পড়তে অনুরোধ করব, যে সকল পুস্তকের এদেশের স্কুল কলেজে প্রবেশের অধিকার নেই। (