So ভারতে ইউরোপীয়ান পৰ্য্যটক শেষভাগে এতদ্দেশে আগমন করেন। যতদূর অবগত হওয়া যায় তাহাতে ১৪৯৪ হইতে ১৪৯৯ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত তিনি ভারতবর্ষে অতিবাহিত করেন। মিসরের রাজধানী কাইরে হইতে যাত্ৰা করিয়া তিনি 'নীলনদী হইয়া কেনে নামক স্থানে পৌছেন এবং তথা হইতে জলপথে মিসরের দুৰ্গম মরুভূমিতে সাত দিন অশেষ ক্লেশভাগ করিয়া লোহিত সাগরের অন্তৰ্গত কোসিরে ও এডেন হইয়া কালিকট পৌছেন। এই পৰ্য্যটক উল্লেখ করিয়াছেন যে, কালিকটে তখন মরিচ এবং আদা জন্মিত। কালিকট হইতে জাহাজ-যোগে ছাব্বিশ দিনে তিনি লঙ্কায় উপনীত হন। লঙ্কায় তখন প্রচুর দারুচিনির বৃক্ষ জন্মিত এবং নানা প্রকার মূল্যবান প্রস্তর পাওয়া যাইত। এই স্থান হইতে দ্বাদশ দিনে তিনি কবমণ্ডল উপকূলে উপস্থিত হন। এইস্থানে চন্দন উৎপন্ন হইত। দীর্ঘকাল এই স্থানে বাস করিয়া তিনি বৰ্ম্মার অন্তভূত পেগু, তথা হইতে মালাক্কা, সুমাত্ৰা প্ৰভৃতি স্থান হইয়া সিরিয়ার অন্তৰ্গত ত্রিপোলীতে উপনীত হন । পঞ্চদশ শতাব্দীর পর্য্যটকত্ৰয়ের মধ্যে ষ্টিফানোর বৃত্তান্তে আমরা উল্লেখযোগ্য কিছুই পাই না এবং কন্টি ও নিকিটন যাহা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন তাহাই প্ৰণিধানযোগ্য । ইহাদের বর্ণনা হইতে ভারতবর্ষের বিশেষতঃ দক্ষিণাত্যের রাজনৈতিক অবস্থার বিষয় বিশেষ কিছু অবগত না হওয়া গেলেও, সামাজিক অবস্থা অনেক পরিমাণে অবগত হওয়া যায় । কন্টি যখন এতদেশে আগমন করেন, তখন বামনী রাজত্ব ব্যতীত বিজয়নগর রাজ্যের সমকক্ষ অন্য কোন রাজ্য ছিল না । বিজয়নগরের তৎকালীন অবস্থা অবগত হইতে হইলে কান্টি ও নিকিটিনের বর্ণনার উপর অনেকাংশে নির্ভর করিতে হয়। কন্টি বলিয়াছেন যে, বিজয়নগর, অর্থাৎ* রাজধানীর পরিধি ষাট भाशेठ 传司 હર્ષિ so, e o o 182 অধিবাসী
পাতা:সমসাময়িক ভারত ইউরোপীয়ান্ পর্য্যটক (প্রথম খণ্ড).pdf/৩২
অবয়ব