পাতা:সমাজ-সমস্যা - যামিনীমোহন ঘোষ.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমাজ-সমস্যা।
১৩৫

অধিকার নাই, তুমি অনধিকার চর্চ্চা করিতে যাইও না। তাহাদের যাহা তাহা তাহাদেরই অধীনে থাকিবে। তুমি সেখানে যাইও না। তাহাদের প্রতি তোমাদের যে কর্ত্তব্য তাহাই কর। সুশিক্ষায় এবং সৎশিক্ষায় সুশোভিত কর। তাহদের আপনি মঙ্গলামঙ্গল, ন্যায় অন্যায়, শুভাশুভের বিচার করিবার ক্ষমতা হো’ক। তাহাদের অধিকার তাহারা ভাল করিয়া ভোগ করিতে সক্ষম হো’ক। যদি দেশের উন্নতি চাও, যদি সমাজের মঙ্গল প্রার্থনা করি, যদি এ জনসমষ্টির মঙ্গল কামনা কর; তবে তোমার অন্যায় অনধিকারচর্চ্চা ছে’ড়ে দাও, অত্যাচার অবিচার করিও না। ভগবানের ঐসমুদয়ে অধিকার, তোমার কোন অধিকার নাই। যদি দেশের মঙ্গল চাও—যদি দশের মঙগল চাও, তবে এ অন্যায় বন্ধন কেটে দাও। সে জীর্ণসূত্র ছিঁড়ে ফেল। লোকে সত্যের উপর দাঁড়াইতে শিখুক—লোকে ন্যায়ের উপর দাঁড়াইতে শিখুক, লোক অন্যায়, অপ্রকৃত এবং অবিচারের প্রতিকূলে দণ্ডায়মান হইতে সাহসী হো’ক; হিংসাদ্বেষ ভুলিয়া যাইয়া এদেশবাসী আবার ভাই ভাইকে ভাই বলিয়া আলিঙ্গন করুক; আবার আর একবার এই সুনীল আকাশতলে এদেশবাসী শান্ত মনে শান্তির গীত গাহিতে থাকুক; আর একবার তাহারা উন্নত হইয়া আপনার যশকাহিনী জগতে বিঘোষিত করিতে সক্ষম হো’ক; আর একবার তাহাদের গৌরব গাঁথা জগতের মুখে গীত হো’ক; খুলে দাও ঐ বন্ধন, ছেড়ে দাও এ জীর্ণসূত্র, নামিয়ে ফেল এ কুসংস্কারের বোঝা! পরিত্যাগ কর—মুক্তকর। একবার এ জাতি, একবার এ সমাজ,