বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নকলের নাকাল Woot যদি পবের পেখম পুচ্ছে গুজিয়া ঘরের মধ্যে অনৈক্য বিস্তার করেন, তাহা হইলে সেটা যে কেবল ঘরেব পক্ষে আপৃশোষেব বিষয হয় তাহ নহে, পবেব চক্ষে হাস্তেবও বিষয় হইয়া ওঠে। যাহা হউক ব্যাপাবট যতই অসঙ্গত হউক, নখন ঘটিয়াছে তখন ইহাব মধ্যে সঙ্গত কাবণ একটুকু আছেই। ত-বাজি কাপড়ে “খেলো” হইলে যত খেলো এবং যত দীন দেখিতে হয় এমন দেশী কাপড়ে নয। তাহাব একটা কারণ, ইংবাজি সাজে সারলা নাই, তাহার মধ্যে আযোজন এবং চেষ্টার বাহুল্য আছে । ইংরাজি কাপড যদি গায়ে ফিট্ ন হইল, যদি তাহাতে টানাটানি প্রকাশ পাইল তবে তাই ভদ্রতাব পক্ষে অত্যন্ত বেয়াক্ৰ হুইয়া পড়ে কারণ ইংবাজি কাপড়েব আগাগোডায় গায়ে ফিট্‌ করিবার চরম উদ্দেশু, দেহটাকে গোসাব মত মুড়িয়া ফেলিবার সযত্ন চেষ্টা সৰ্ব্বদা বৰ্ত্তমান । মৃতবা প্যাণ্টলুন যদি একটু খাটাে হয়, কোট যদি একটু উঠিয়া পড়ে, তবে নিজেকেই ছোট বলিযা মনে হয়, সেই টুকুতেই আত্মসম্মানের লাঘব হইয়া থাকে —যে ব্যক্তি এ-সম্বন্ধে অজ্ঞতাসুখে অচেতন, অন্ত লোকে তাকার হইয়া লজ্জা বোধ কবে । এ-সম্বন্ধে দুটো কথা আছে। প্রথমে, ঠিক দস্তুরমত ফ্যাশানমত কাপড় পবিতেই হইবে এমন কি মাথাব দিব্য আছে! এ কথাটা খুব বড় লোকের, খুব স্বাধীনচেতার মত কথা বটে। দশের দাসত্ব, প্রথার গোলামী, এ-সমস্ত ক্ষুদ্রতাকে ধিক্ । কিন্তু এ স্বাধীনতার কথা তাহাকে শোভা পায় না যে লোক গোড়াতেই বিলাতী সাজ পরিয়া অনুকরণের দাসখত আপাদমস্তকে লিখিয়া রাখিয়াছে। পাটা যদি নিজের হয় তবে তাহা কাটা সম্বন্ধেও স্বাধীনত থাকে ; নিজেদের ফ্যাসানে যদি চলি তৰে তাহাকে লঙ্ঘন করিয়াও মহত্ব দেখাইতে পারি। পরের পথেও চলিব আবার সে-পথ কলুষিতও করিব এমন বীরত্বের মহত্ব বোঝা যায় না!