কলম্বাস নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছেন, পাদ্রী বয়েলকে পর্য্যন্ত মজুরের মত খাটিয়ে নিয়ে তিনি অনুদার স্বভাবের পরিচয় দিয়েছেন,···তাঁর কোপন-স্বভাবের পরিচয়ও এতে ফুটে উঠেছে। কিন্তু তাঁদের মনে রাখা উচিত···সে-যুগ আর এ-যুগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে অনেক।
কলম্বাস বেরিয়েছিলেন তাঁর সোনার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে···তাঁর দুঃখ-কষ্ট ও সাধনাকে সার্থক করে তুলতে। সেজন্য কোন দুঃখ-কষ্টকেই তিনি গ্রাহ্য করেন নি, কোন বিপকেই তিনি বিপদ বলে গণ্য করেন নি। কিন্তু এতটা সত্ত্বেও...তবু যদি কেউ দাঁড়ায় তাঁর মুখোমুখি শত্রুর মত,···সে তাহলে কতটা দয়া আশা করতে পারে? সফলই যদি তারা হতে পারত...তাহলে কোথায় থাকত আজ কলম্বাসের খ্যাতি,···আর কোথায় থাকত রাজা ফার্ডিন্যাও বা রাণী ইসাবেলার অনুগ্রহের মূল্য? হয়তো কলম্বাস নিষ্ঠুর ছিলেন···হয়তো ছিলেন তিনি অনুদার,···কিন্তু তাই বলেই তো এমন একটা কীর্ত্তি স্থাপন করতে তিনি পেরেছিলেন! নইলে সব-কিছুই যে আকাশ-কুসুমের উন্মাদ কল্পনা বলে আজও কুখ্যাত হয়ে থাকতো!
পাদ্রী বয়েলকে মজুর খাটিয়ে নেওয়ার কথাটাই