ভয়ঙ্কর জলজন্তুর শুধু একটু পুচ্ছ-আলোড়ন দেখে ফিরে এসেছে, কেউ-কেউ নাকি ঝড়ের দিনের মেঘচুম্বী তরঙ্গশীর্ষে দেখেছে নামহীন সেই রহস্য-লোকের অধিবাসীদের অস্তিত্বের অস্পষ্ট ইঙ্গিত!
এই ভাবে সমুদ্র-পথ থেকে আগত নাবিকদের কাহিনী থেকে, লোকের মুখে-মুখে, যুগ-যুগ ধরে, মানুষ এই মহাসাগরের অন্তর্দেশকে জেনে এসেছে, তরল মৃত্যুর রহস্য-লোক রূপে··· যেখানে মানুষ তার ক্ষুদ্র শক্তি নিয়ে যেতে পারে না, গেলেও যেখান থেকে ফিরে আসবার আর তার কোনও সম্ভাবনা নেই!
আবার কোন-কোন দুঃসাহসী নাবিক ভেবেছেন, যদি পৃথিবী গোল না হয়,...যদি এই কাগজের মত সমতল আর চ্যাপ্টা হয়!···তাহলে তো নিশ্চয়ই বেশী দূর গেলে, কোথায় শেষ সীমানায় এসে পড়তে হবে···সেখান থেকে হয়ত জাহাজ পড়ে যাবে কোন্ অতলে!...
কলম্বাস যখন সমুদ্রের নীল জলের দিকে চেয়ে-চেয়ে বড় হচ্ছিলেন, তখন তাঁর আশে-পাশে সমুদ্রের এই ভয়াবহ মূর্তিও তেমনি ভয়াল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু যে প্রশ্ন শুধু লোকের মনে ভীতি উৎপাদন করে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো, তাঁর মনে সে প্রশ্ন স্থায়ী বাসা নিয়ে বসলো। পৃথিবীর