নিশ্চয়ই এশিয়ায় এসে পৌঁছবে। কারণ তখন তারা জানতো না যে, য়ুরোপ আর এশিয়ার মাঝখানে আমেরিকা বলে আর একটা মহাদেশ আছে। নানা বৈজ্ঞানিকদের লেখা থেকে লোকে এটা তখন স্থির সিদ্ধান্তে এসেছিল যে, আটলাণ্টিক মহাসাগরের ওপারে সমুদ্র-পথে এশিয়া আছে। কিন্তু আটলাণ্টিক সাগর পার হয়ে কে যাবে?
যুগ-যুগান্ত ধরে এই আটলাণ্টিক মহাসাগরের ভেতরের দিকটাকে মানুষ এক বিরাট ভয়ের চোখে দেখে এসেছে। আর তার এই ভয় অহেতুক নয়। পৃথিবীর উপকূল ছাড়িয়ে যারাই এই সমুদ্রের ভেতরে বেশীদূর যেতে সাহস করেছে, তারাই তাদের মৃত্যু দিয়ে জগতে প্রমাণ করে দিয়ে গিয়েছে, এই মহাসাগরের ভেতরে আছে মৃত্যুর রহস্য-লোক, ঝড়-তুফান—জলদৈত্য আর ভয়ঙ্কর সব জলজন্তুর রাজত্ব। সেখানকার অজানা জলরাজ্য হলো ঝড়ের জন্মভূমি, তুফানের খেলাঘর! সেখানকার বাতাসে— মৃত্যু-নীল জলে আছে, ভয়ঙ্কর সব জলজন্তু, যাদের নিঃশ্বাসে সেখানকার বাতাস বিষাক্ত হয়ে আছে, যারা হাঁ করলে এক-একটা আস্ত জাহাজ মানুষ-শুদ্ধ গিলে খেয়ে ফেলতে পারে।
কোন-কোন নাবিক নাকি অনেক দূর থেকে সেই