বিদ্যার খ্যাতি তাঁকে আকর্ষণ করলো···তিনি জন্মভূমি ত্যাগ করে তাই পর্ত্তুগালে চলে এলেন···যদি সেখানে তাঁর প্রস্তাবের সমর্থন কোথাও মেলে!
পর্ত্তুগালে এসে তাঁর জীবনের এক মহা সৌভাগ্য দেখা দিল। পর্ত্তুগালের রাজধানী লিসবন্ শহরে এসে তিনি সেখানকার এক অতি সম্ভ্রান্ত ও ধনী মহিলার পাণিগ্রহণ করেন! এই বিবাহের ফলে তাঁর বিশেষ সুবিধা হলো... পর্ত্তুগালের বহু সম্ভ্রান্ত লোকের সঙ্গে তিনি পরিচিত হলেন এবং তখন সেখানকার বড়-বড় নাবিকেরা এবং বিশেষ করে নৌ-বিদ্যার শিক্ষার কলেজে ভূগোল এবং সমুদ্র-অভিযান সম্বন্ধে যে-সব গবেষণা চলছিল, তার সঙ্গে পরিচিত হলেন।
লিসবন্ শহরে এসে তিনি তাঁর পূর্ব্বগামী পথিকদের সব ভ্রমণ-কাহিনী পড়তে লাগলেন। ক্ষুধিত লোক তার সামনে খাদ্য এলে যেমন ভাবে খায়, কলম্বাস তেমনি আগ্রহের সঙ্গে সেই সব ভ্রমণ-কাহিনী পড়তে লাগলেন... আশৈশব তাঁর মনে যে স্বপ্নকে তিনি লালন-পালন করে এসেছেন, পর্ত্তুগাল তাঁর সেই স্বপ্নকে জাগ্রত চিন্তার মূর্ত্তিতে ফুটিয়ে তুল্লে।— তিনি নিজের ঘরে বসে দিনের পর দিন আটলাণ্টিক অভিযানের প্ল্যান তৈরী করতে লাগলেন।