বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমুদ্রজয়ী কলম্বাস - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমুদ্রজয়ী কলম্বাস

আইস‍্ল্যাণ্ডের কবিরা তাঁদের সেই কীর্তির কথা গাথায়গাথায় অমর করে রেখেছে!

 এই সব অভিজ্ঞতা থেকে কলম্বাসের মনের বিশ্বাস ক্রমশঃ দৃঢ়তর হতে লাগলো···নিশ্চয়ই এই মহাসাগরের ওপারে আছে মাটির দেশ···কিন্তু তিনি দরিদ্র, অসহায়... কে শুনবে তাঁর কথা? যার কাছেই তিনি সে-কথা বলেন, পাগল বলে তারা তাঁর কথা উড়িয়ে দেয়।

 তখন পর্ত্তুগাল ছিল, য়ুরোপের মধ্যে নৌ-বিদ্যার সব চেয়ে বড় আড্ডা! পর্ত্তুগালের রাজবংশে হেনরী বলে এক রাজকুমার জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি আজীবন নৌবিদ্যার সাধনা করে যান। তাঁরই চেষ্টা এবং প্রেরণার ফলে পর্ত্তুগালের নাবিকরা তখন দূর-দূরান্তে সমুদ্র-তরঙ্গের মধ্যে নানান্ দ্বীপ আবিষ্কার করেন। নৌ-বিদ্যা শিক্ষার জন্যে তিনি নিজের অর্থে এক বিরাট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, সেই নৌ-বিদ্যার কলেজ সেই সময় য়ুরোপে খুব বিখ্যাত ছিল। তাঁর সেই সাধনার ফলে আজ ইতিহাসে তাঁর নাম ‘প্রিন্স হেনরী দি ন্যাভিগেটর’ (Prince Henry, the Navigator) নামে পরিচিত।

 কলম্বাস নিজের জন্মভূমিতে কোন উৎসাহ না পেয়ে পর্ত্তুগালে আসবার মনস্থ করলেন। পর্ত্তুগালের নৌ-

১৩