ছেলের হাত ধরে তিনি স্পেনে এলেন। রাণী ইসাবেলা তাঁর সমস্ত কথা মন দিয়ে শুনলেন। কলম্বাস যেভাবে তাঁর আজীবন সঞ্চিত কল্পনার কথা রাণী ইসাবেলার সামনে বল্লেন, তাতে মনে হলো যে তিনি যেন চোখের সামনে সেই অজানা নতুন দেশের তীর দেখতে পাচ্ছেন! তাঁর কথা শুনে রাণী ইসাবেলা কতকটা বিশ্বাস করলেন এবং সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিতে সম্মত হলেন।
কিন্তু কলম্বাসের মনে এই প্রস্তাবের পেছনে এক বিরাট দুরাকাঙ্ক্ষা এতদিনে গড়ে উঠেছিল। কিসের জন্য তিনি এই অসাধ্যসাধন-ব্রতে জীবন উৎসর্গ করতে চলেছেন? তাই তিনি তাঁর পুরস্কার-স্বরূপ জানালেন যে, যদি আমি কৃতকার্য হই, তাহলে স্পেনের নামে যে-সব দেশ আমি অধিকার করবো, আমাকে সেই সব দেশের রাজপ্রতিনিধি করতে হবে...এবং পশ্চিম আটলাণ্টিকে আমি যতদূর যাব, ততদূর পর্য্যন্ত আপনার নৌ-বাহিনীর Admiral আমাকে করতে হবে...যে-সব অর্থ এবং ঐশ্বর্য্য আমি আহরণ করে আনবো, তার দশভাগের একভাগ আমার প্রাপ্য হবে... কারণ আমার পুত্রকে আমি এমন ঐশ্বর্য্য দিয়ে যেতে চাই, যাতে আমার নাম ও বংশের নাম সগৌরবে আমার মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকতে পারে।