সন্ন্যাসী পথশ্রান্ত পথিকদের রুটী এবং জল খেতে দিলেন।
আহারান্তে কলম্বাস সেই সহৃদয় সন্ন্যাসীকে তাঁর জীবনের করুণ কাহিনী সমস্ত বল্লেন। অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সন্ন্যাসী সেই অতিথির অপূর্ব কথা সব শুনলেন। শুনতে-শুনতে তাঁর উৎসাহ জেগে উঠলো, তিনি বুঝলেন যে-লোক নিজের অন্তরের আদর্শের জন্যে এতখানি ক্লেশ সহ্য করতে পারে এবং যার এতখানি ধৈর্য্য, সে-লোক কখনই ভণ্ড বা উন্মাদ হতে পারে না। তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তিনি বুঝলেন যে, এই লোকই জগতে অসাধ্যসাধন করতে পারে। কলম্বাসের সৌভাগ্য যে, এই মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে রাণী ইসাবেলার বিশেষ প্রীতির সম্পর্ক ছিল। তিনি এই সন্ন্যাসীকে বিশেষ শ্রদ্ধা করতেন। কলম্বাসের সমস্ত কথা শুনে তিনি তাঁকে বল্লেন, তুমি স্পেন ত্যাগ করে যেয়ে। না। তোমার হয়ে রাণীর কাছে আমি আবেদন নিয়ে যাব, দেখি কি হয়!
এই বলে কলম্বাসকে আশ্বাস দিয়ে সেই মঠেই তিনি কলম্বাস আর তাঁর ছেলেকে কিছুদিনের জন্যে আশ্রয় দিলেন এবং নিজে রাণী ইসাবেলার কাছে কলম্বাসের আবেদন নিয়ে উপস্থিত হলেন।