সন্ন্যাসীর কথায় রাণী ইসাবেলার মন ফিরে গেল। বিশেষ করে যখন তিনি শুনলেন যে কলম্বাস স্পেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ফরাসীরাজের দরবারে যাচ্ছেন, তখন তিনি সন্ন্যাসীকে বল্লেন, তাকে ফ্রান্সে যেতে আপনি বারণ করুন, আমার অলঙ্কার বেচেও যদি কলম্বাসকে পাঠাতে হয়, তাতেও আমি রাজী আছি।
সন্ন্যাসীর কাছে কলম্বাসের দুর্দশার কথা শুনে... দয়াপরবশ হয়ে···তিনি কলম্বাসের জন্যে দরবারের উপযুক্ত পোষাক দিয়ে পাঠালেন এবং তাঁকে আনবার জন্যে নিজেদের অশ্বশালা থেকে অশ্ব পাঠালেন।
সন্ন্যাসীর কাছে সেই সকল বার্ত্তা শুনে কলম্বাসের অন্তরাত্মা আনন্দে নৃত্য করে উঠলো···তাহলে এতদিন পরে তাঁর ধৈর্য্যের লতায় ফুল ফুটলে!! রাণীর দেওয়া পোষাক পরে আনন্দ-উজ্জ্বল মুখে কলম্বাস আবার রাজা ফার্ডিন্যাণ্ড এবং রাণী ইসাবেলার সম্মুখে উপস্থিত হলেন।
স্পেনের রাজা ও রাণী তাঁর সমস্ত প্রস্তাবেই সম্মত হলেন এবং তাঁরা অঙ্গীকার করলেন যে, কলম্বাস যদি তাঁর কথামত সফল হতে পারেন, তাহলে তাঁকে তাঁরা তাঁর বাসনা অনুযায়ী সেই সব নূতন দেশের স্পেনের রাজপ্রতিনিধি করে দেবেন এবং তিনি পশ্চিম আটলাণ্টিকে