সে সময় হাতের লেখা নকল করার কাজের খুব চাহিদা ছিল। শুধু হাতের লেখা বলে নয়, অঙ্ক এবং ছবি আঁকাতেও কলম্বাস সব ছেলেকে ছাড়িয়ে গেল। সে সময় যারা বেশী লেখাপড়া শিখতে চাইতো, তাদের ল্যাটিন ভাষা পড়তে হতো; কারণ সে সময় য়ুরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যা কিছু ভাল বই, তা ল্যাটিন ভাষাতেই লেখা হতো। কলম্বাস সে অল্প বয়সে ল্যাটিন ভাষা এত তাড়াতাড়ি এবং এত ভাল রকম শিখে ফেল্লেন যে বুড়োরাও অবাক হয়ে গেল।
ছেলেবেলায় জেনোয়ার বন্দরে জাহাজগুলোর আসাযাওয়া দেখতে-দেখতে কলম্বাসের মনে দুরন্ত বাসনা হয়েছিল যে তিনি নাবিক হবেন, অমনি নাবিকদের মত দূর অজানা সমুদ্রে ঘুরে-ঘুরে বেড়াবেন। ভাল নাবিক হতে হলে, ভূগোল জানা চাই, আকাশের নক্ষত্রের বিষয়ও ভাল করে জানা চাই; কারণ, তখনও পর্য্যন্ত আকাশের তারা দেখে নাবিকেরা দিক্হীন সমুদ্রের মধ্যে দিক্ নির্ণয় করতো। তাই ছেলেবেলা থেকে নিজের চেষ্টায় তিনি ভূগোল এবং জ্যোতির্বিদ্যা শিখতে লাগলেন। কিন্তু বই পড়েই তো নাবিক হওয়া যায় না। জলে না নামলে যেমন সাঁতার কাটা শেখা যায় না, তেমনি জলে