নেমে নৌকোয় না ভাসলে নাবিক হওয়া যায় না। স্কুলে পড়বার সময় যখনই সুবিধা-সুযোগ এসে জুটতো, কলম্বাস নৌকোয় চড়ে পাড়ি দিতেন। সে সব নৌকো অবশ্য বেশীদূর যেতো না, উপকূল ধরে-ধরেই চলতো।
তা ছাড়া তখন সমুদ্র-যাত্রার পথ এত ব্যাপক ও দীর্ঘও ছিল না। শুধু পালের ওপর ভরসা করে জাহাজ বা নৌকো সমুদ্রের ভেতরে বেশী দূরে যেতে সাহস করতো না। তখন য়ুরোপের লোকের কাছে, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা অজানা ছিল। আধখানা পৃথিবীর সঙ্গে বাকি আধখানার পরিচয় ছিল না। য়ুরোপের নাবিকেরা সমুদ্রের তীর ধরে ধরে য়ুরোপের সমুদ্রের ধারের বন্দরে যাতায়াত করতো। যে সময়ের কথা আমরা বলছি, সে সময় য়ুরোপে পর্ত্তুগীজরা খুব বড় নাবিকের জাত ছিল। তাদেরই মধ্যে দুঃসাহসী সব নাবিকেরা ছিল, যারা সমুদ্রের দূরপথে বাণিজ্যের জন্যে যাতায়াত করতো।
এই দূরপথের সীমানা ছিল, উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম আফ্রিকার খানিকটা অংশ। দক্ষিণ আফ্রিকার অস্তিত্বই তখন তারা জানতো না। এই দূর-পথে যে-সব দুঃসাহসিক নাবিকেরা আসতো, তাদের মধ্যে অধিকাংশই