পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ মনোহর কাছে আগাইয়া গেল। বুকের মধ্যে তার টিপ চিপ করিতেছে! কি করিয়া বলিবে, সে আর কাজে আসিবে না । মিসেস লাইয়ন যদি রাগ করে, যদি গালাগালি দিতে আরম্ভ করে ? যদি তাকে পুলিসে ধরাইয়া দেয়। মনোহরের আগেই বৃন্দাবন কাছে গিয়া দাড়াইল, মিসেস লাইয়ন বলিল, “বজ্জাত! উলু! বোলাত শুনত নেই ? টেবিলমে বড় বড় লাল গোলাপ দেও-গান্ধবালা ৷” বৃন্দাবন বলিল, “হুজুর।” বৃন্দাবন চলিয়া গেলে হঠাৎ ঝোঁকের মাথায় মনোহর মিসেস লাইয়নের আরও কাছে আগাইয়া গেল। এত কাছে যাওয়ার সাহস তার আগে কোনদিন হয় নাই । ‘হুজুর—” করুণ সুরে বিদায়বাণী আরম্ভ করিতে গিয়া মনোহর থামিয়া গেল। কিসের গন্ধ নাকে লাগিতেছে ? এমন মৃদু এমন মধুর এমন এই-আছে এই-নাই খাপছাড়া আশ্চৰ্য গন্ধ ? কোন ফুলের এরকম গন্ধ আছে বলিয়া তো তার জানা নাই। নানা ফুলের মিশ্ৰিত গন্ধও এরকম হয় না। এতকাল সে ফুল ঘাটিতেছে, ফুলের গন্ধই qकभ श्म नl । বুক ভরিয়া মনোহর বাতাস গ্ৰহণ করে, কিন্তু জোরে শ্বাস টানিতে গিয়া গন্ধ পায় না । এরকম জোর-জবরদস্তির সঙ্গে সহযোগিতা করিবার মত গন্ধ এটা নয়। সাধারণভাবে মৃদু মৃদু শ্বাস গ্রহণের মধ্যেই এ গন্ধ নিজেকে ধরা দেয় । মিসেস লাইয়ন বিরক্ত হুইয়া বলিল, “কিয়া মাংতা ?” মনোহর বলিল, “হুজুর, বাগানমে গন্ধবালা ফুল বড় কমতি আছে।” S\98