পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

→ाiन्>-ब्द टट्याट-ञ्त G--ाञ्=ा

  • পূর্ণমার আগের দিন সন্ধ্যার সময় রসময় ডাক্তারের বৈঠকখানা— ডিসপেনসারীতে হাদিগল্পটা একটু বেশী জমিয়াছিল। হাসিগল্প রোজই চলে, পাড়ার দু’পাচজন ভদ্রলোক প্ৰতি সন্ধ্যাতেই এখানে আসিয়া জড়ো হয়, তবে পাড়ার বিপিন সরকার। যেদিন উপস্থিত থাকে, হাসি আর গল্প দুয়েরই মাত্ৰা চড়িয়া যায়। বিপিন বাড়ায় গল্পের পরিমাণ, হাসিটা বাড়ায় অন্য সকলে।

কেলব হাসে না রসময় আর তার কুড়ি টাকা বেতনের ছোকরা কম্পাউণ্ডার রতন। ছোট ঘরোয়া ডিসপেনসারী, শিশি বোতল, সাজানো বুক-শেলফটি ধরিলে ওষুধের আলমারি হইবে সাড়ে তিনটি, সন্ধ্যার পব সাধারণতঃ সাড়ে তিন শিশি ওষুধও বিক্রয় হয়। কিনা সন্দেহ । বিরাট ডিসপেনসারী হইলেও এ পাড়ায় এ রাস্তার ধারে তার চেয়ে বেশী ওষুধ বিক্রয় হইত না। ডাক্তার ও কম্পাউণ্ডার দুজনেই তাই হাসিগল্প শুনিবার অবসর পায়। রসময়ের তবু মোটামুটি পশার আছে, কখনো বাহিরে ডাক আসে, কখনো রোগী আসে, আগাগােড়া বন্ধুদের সশব্দ আনন্দে ভাগ বসানাের সুযোগ সে প্রায়ই পায় না, কোনদিনী একেবারেই পায় না। রতন। কিন্তু আলমারির পিছনে তার ওষুধ তৈরীর খােপে ঢুকিবার সরু পথটির সামনে সমস্তক্ষণ টুলে বসিয়া থাকে, রসময়ের রোগী দেখিবার খোপটির কাঠের দেয়ালে আরামে হেলান দিয়া সকলের প্রত্যেকটি কথা শোনে। কিন্তু একটু মুচকি হাসিও কখনো হাসে না। S(\O)